‘শক্তিবর্ধক হালুয়া’ খেয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

রাজধানীর অদূরে সাভারে রাস্তার পাশে কবিরাজের বিক্রি করা কথিত শক্তিবর্ধক হালুয়া খেয়ে ‘বিষক্রিয়ায়’ দুই পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরো দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাসপতালের ব্যবস্থাপক বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, সাভারের ভাদাইল এলাকা থেকে জিল্লুর রহমান, মোতালেব শেখ, শামীম শেখ ও ফরিদ উদ্দিন নামে চার যুবককে বুধবার (১৪ মার্চ) গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে জিল্লুর ও মোতালেবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এছাড়া শামিম ও ফরিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই দুইজন বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে জিল্লু টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার ধবুলিয়া গ্রামের সবুজ শেখের ছেলে আর মোতালেব একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। চিকিৎসাধীন শামীম শেখ ওই গ্রামের আবুল শেখের ছেলে। তবে ফরিদ উদ্দিনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, সাভারের পথেঘাটে একশ্রেণির কথিত কবিরাজ হ্যান্ডমাইকে ‘শক্তিবর্ধক হালুয়া’ বিক্রি করেন।

আশুলিয়া থানার ওসি আবদুল আউয়াল বলেন, হতহতরা ভাদাইলে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কী ধরণের বিষক্রিয়ায় তারা আক্রান্ত হয়েছেন, সে বিষয়ে পরীক্ষা না করে কিছু বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৪ মার্চ) গভীর রাতে ওই শ্রমিকরা কারখানা থেকে ফিরে ‘কবিরাজের কাছ থেকে আনা মালমশলা দিয়ে শক্তিবর্ধক হালুয়া তৈরি করে’ খান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাদের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

মোহাম্মদ আলীর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নূরুল হক বলেন, বুধবার (১৪ মার্চ) রাতে হতহতরা কি যেন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মোতালেবের ভাই নাসির উদ্দিন তাদের প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা ঠিক কী খেয়েছিল তা আমি সঠিক জানি না।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, বিভিন্ন স্থানে এই কথিত শক্তিবর্ধক হালুয়া বিক্রি হলেও কেউ কখনও অভিযোগ দেয়নি। এটি আসলেই শক্তিবর্ধক অথবা ক্ষতিকর কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ আমার কাছে নেই।

শেয়ার করুন