সুনামগঞ্জে মতবিনিময় সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী হাওরে টাকাও দিয়েছেন মাস্তানও পাঠিয়েছেন

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার হাওরের ফসল রক্ষার জন্য টাকাও দিয়েছেন, আবার দুর্নীতি রোধে মাস্তানও পাঠিয়েছেন, প্রথম মাস্তান আমি। এরপর সচিব, আর প্রতিমন্ত্রীতো আছেনই। মাস্তান বলতে সন্ত্রাসী নয়, মন্ত্রী বুঝাতে চেয়েছেন জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে শক্তি প্রয়োগ করতে এবং যে কোন অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর আছে প্রশাসন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে মিলেই চেষ্টা করেছি হাওরের বাঁধগুলো নির্মাণের মাধ্যমে ফসল রক্ষা করার জন্য। আমি আপনাদের বলেছিলাম পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জে নিয়ে আসবো, সেটি সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছি।

বুধবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসের মিলনায়তন হল রুমে মতবিনিময় সভায় হাওরের কৃষক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ,সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে মতবিনিময়ের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভী বাজার এবং হবিগঞ্জ জেলার হাওরগুলোতে অকাল বন্যায় বোরো ধানের সীমাহীন ক্ষতির শিকার হয় হাওরবাসী। উজান থেকে পানি নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পানি বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায় সব ফসল। ভাঁধ ভাঙ্গার পর বাঁধে অনিয়ম আর দূনীতি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন,‘মানুষের পক্ষে যেটুকু করা সম্ভব, সেটুকু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর মনিটরিং ও নির্দেশে এবার হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য কাজ করা হয়েছে। কৃষকরা ২০এপ্রিলের মধ্যে ধান কেটে ঘরে নিতে পারবেন। পানি সম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন,‘‘মতবিনিময় সভায় সকলেই বলেছেন বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়ে এখানকার মানুষের ধারণা ছিল-‘বর্ষার আগে টাকা দেয়, তিন মাসে সেই টাকা শেষ করে নেয়। এবার সেই দুর্নাম গুছানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি হাওরাঞ্চলের কৃষকদের বি-আর-২৮ধানসহ কম মেয়াদের ধান আবাদ করার আহবান জানিয়ে বলেন, বেশি ফলন পাবার আশায় বেশি দিনে পাকে এমন জুয়া খেলা থেকে রক্ষা পেতে হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা, অতিরিক্ত সচিব ইউসুফ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান, দোয়ারা বাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী বীর প্রতীক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম প্রমুখ।