দেশ এখন দুর্নীতির মহাসড়কে : এরশাদ

চট্টগ্রাম : দুর্নীতির মহাসড়কে দেশ এখন পথভ্রষ্ট। দেশের মানুষ এ থেকে পরিবর্তন চায়। দেশকে বাঁচাতে হবে। আমরা একক সরকার চাই না। সব একজনের কথায় চলছে। দেশে কোন নিরাপত্তা নেই। এখন তো নির্বাচন হয় না, সীল মারে। নির্বাচন কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে উদ্ধার করতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে দেশকে।

শনিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি বলেন-‘বাংলাদেশের মতো ব্যাংক ডাকাতি আর কোথাও হয় নাই। এখন বলা হচ্ছে ব্যাংকে টাকা নেই। কোথায় গেল এই টাকা? কৃষককেরা ব্যাংকের ঋণের টাকা দিতে না পারলে জেলে যেতে হয়। কৃষকের বিচার হয়, প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম আসে, এদের তো বিচার হয়না?’

তার সাথে বসতে লজ্জা পান উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘এখন সরকার চালায় কে? শুধু একজন। আমাকে স্বৈরাচার বলছেন।এখন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সরকারকে স্বৈরাচার বলছে। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান, শেয়ার বাজার ধবংস. ব্যাংকের টাকা লুট, সব ধবংস। সবাই এগিয়ে আসুন, এ দেশকে বাঁচান।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এ সাবেক রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ওনি কথা দিয়েছিলেন ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন। এখন চালের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একজন রিকশাওয়ালার তিন থেকে চারজন সন্তান। তারা ৭০ টাকা কেজিতে কিভাবে ভাত খাবেন? ঘরে ঘরে চাকরি দেওযার কথা বলেছিলেন, কিন্তু এখন দেশে ৪ কোটি ৮২ লাখ বেকার। ওরা এখন দেশের বোঝা, পরিবারের বোঝা, সমাজের বোঝা। বেকারত্ত্বের অভিশাপ নিয়ে তারা মাদকের আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু ওনারা ভালো আছেন। মানুষ কেমন আছেন, তাদের তা জানার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সময় নেই। কারা ব্যাংকের টাকা চুরি করলো তাদের নাম জানতে পারলাম না। নিশ্চয় আপনারা জড়িত আছেন। তাই কিছু বলেন না।’

সম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষনেতা ও ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সোলেমান আলম শেঠ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন