কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দের ঢেউ
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের আহবানে বালু পাথর শ্রমিকরা ধান কাটবে হাওরে

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া : বৈশাখ মাসের শুরুতেই সুনামগঞ্জের হাওরজুড়ে সবুজ বোরো ধানের সোনালী ঢেউ। কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দের হাসি, চোখে মুখে তৃপ্তির ছাপ। কিন্তু আশংকা করা হচ্ছে সেই উৎসব আনন্দ যেন মলিন হয়ে যেতে পারে ধান কাটার শ্রমিক সংকটের কারণে। বিষয়টি উপলব্দি করে এগিয়ে এলেন জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান। ধোপাজান নদীসহ বিভিন্ন নদীতে বালু, পাথর উত্তোলন ও বড় বড় ভলগেইট, কার্গোতে লোড-আনলোড কাজের সাথে জরিত অন্তত ১০হাজারের বেশী শ্রমিককে হাওরের বোরো ধান কাটার কাজ করতে আহবান তিনি। পুলিশ কর্মকর্তার এমন আহবান শ্রমিকদের কাছে পৌছে দিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন জেলার বিভিন্ন নদী পথে স্প্রীডবোডযোগে মাইকিং করে ও মতবিনিময় করেছেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসআই রিপন ঘোষ, এসআই জালাল উদ্দিন, এসআই সোহেল ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এসআই আমিনুলসহ ৩৫জন পুলিশ সদস্য। এসময় নদীতে কর্মরত সকল শ্রমিকগণ পুলিশ সুপারের আহবানকে স্বাগত জানিয়ে হাওরের বোরো ধান কাটার কাজে যোগ দিবেন বলে জানায় শ্রমিকরা।

একাধিক কৃষক পরিবার জানায়, শ্রমিক সংকট থাকায় কষ্টের ফলানো পাকা বোরো ধান কাটা, মাড়াইয়ে আশংকা ছিল। ধান কাটার জন্য পূর্বের দিনগুলোর মত শ্রমিকের খোঁজ না পাওয়ায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেরা ধান কাটতে চলে এসেছে বাড়িতে। আর বৈরী আবহাওয়ার কারনে কখন কি ঘটে সেই চিন্তায় হাওরবাসী উদ্বিগ্ন।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানায়, জেলার আবাদ জমির পরিমাণ ২লাখ ৭৬হাজার ৪শত ৪৭হেক্টর। এবার ২লাখ, ২১হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। আর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র ১২লাখ ১৯হাজার ৪১৪মেট্রিকটন। যার মূল্য ২হাজার ৯২৪কোটি ৬৭লাখ ৩৬হাজার টাকার বেশী।

সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, এই জেলায় হাওরে হাওরে এখন ধান কাটার শ্রমিকের সংকট রয়েছে। তাই পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খানের পক্ষ থেকে বালি, পাথর শ্রমিকদের এবার হাওরের ধান কাটার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। সেই সাথে তাদের ধান কাটার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। এই আহবানে শ্রমিকগণও সাড়া দিয়েছেন।

শেয়ার করুন