এই সড়কটির মালিক কে !
বাইশারীতে সড়কের মাঝখানে পানিভর্তি ‘পুকুর’

শামীম ইকবাল চৌধুরী :: রাস্তার মাঝখানে পুকুর সদৃশ। পানিভর্তি ‌’পুকুর’ এর মাঝখানে লাল পতাকা উড়িয়ে যানবাহন চলাচলে সতর্ক করেছে এলাকাবাসী। মানুষ চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এমন চিত্র ফুটে উঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাই্যংছড়ি উপজেলার জনবহুল এলাকা বাইশারী বাজারের প্রবেশ পথে। মাত্র দুইশত গজ জায়গা অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। যেকারণে পুরো ১৩ কি.মি. দীর্ঘ সড়কটি অকেজো হয়ে পড়েছে। অবর্ণনীয় দুর্ভোগ মাড়িয়ে প্রতিদিন যানবাহন ও সধারণ মানুষ চলাচল করছে। পুরুদমে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা।

এলাকার হাজারো মানুষের প্রশ্ন উভয় পার্শ্বে সড়কের মেরামতের কাজ সমাপ্ত হলেও এই জায়গাটুকু মালিক বিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে কেন?

এদিকে বাইশারী বাজারের ত্রিমোহনি চত্বর থেকে উত্তরে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পাকা সড়েকের কাজটি করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ বান্দরবান। অন্যদিকে ত্রিমোহনী চত্বর থেকে দু’শ গজ বাদ দিয়ে সড়কের কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের কাজটি করেছেন এলজিইডি নাইক্ষংছড়ি। উভয় দপ্তর দু’শ গজ রাস্তার জায়গা বাদ দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসীর মনে করছে এটুকু নোম্যান্ডস ল্যান্ডস। নাহয় মালিক বিহীন বেওয়ারিশ এলাকা।

যোগাযোগ করা হলে এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, যতটুকু এবং যেই জায়গা থেকে টেন্ডার হয়েছে এই কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকী কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হবে।

সড়কের করুন দশায় মালামালা কাধে বহন করে নিতে হচ্ছে। যার ফলে কৃষক ও ব্যবসায়িরা দ্বিগুন খরচ গুনছে। বাইশারী বাজারটি বাইশারী সহ তিন ইউনিয়নের লাধিক মানুষের প্রাণ কেন্দ্র। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী তুলেছেন হাজারো ব্যাবসায়ী মহল।

এ বিষয়ে বাইশারী ইউপি চেয়ারমান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, বাইশারী বাজারের প্রবেশ পথের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। দ্রুত উন্নয়নের জন্য তিনি বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছেন। অচিরেই ব্যবস্থা নিবেন বলে তাকে আশ্বস্থ করেছেন।

এবিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জল হোসেন ভুইয়া জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে হোক আর না হলে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে হোক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।