বড় পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি বিএনপিই শুরু করেছিল

বক্তব্যা রাখছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

বড় পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি বিএনপিই শুরু করেছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৫-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বড় পুকুরিয়ার কয়লা চুরিটা শুরু করেছিলেন, আর আজকে চোর ধরা পড়েছে। সরকার বরং চোর ধরেছে।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লা‌বের কনফা‌রেন্স লাউ‌ঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রাজনীতি’ শীর্ষক আ‌লোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তি‌নি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ২০০৫ সালে আপনারা (বিএনপি) বড় পুকুরিয়ার কয়লা চুরিটা শুরু করেছিলেন। সেই ধারাবাহিতায় কিছু কর্মকর্তা চুরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমাদের সরকার সেই চোরদের ধরেছে এবং এই চোরদের ধরার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালে কারা চুরির সঙ্গে যুক্ত ছিলো সেটিও বেরিয়ে আসবে।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের অন্যতম এ মুখপাত্র বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চুরি এবং দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, যাদের চেয়ারপারসন এতিমের টাকা চুরি করার কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে সাজাভোগ করছেন, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুই দু’টি মামলায় দণ্ডিত হয়ে দেশান্তরী হয়েছেন, যাদের দুর্নীতি সিঙ্গাপুরে উদঘাটিত হয়, যাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে তাদের(বিএনপির) দলের নেতাদের আমেরিকায় শাস্তি হয, তারা আবার বড় গলায় কথা বলেন।

বিএনপি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মী যাদের ঢাকায় ডাকছেন তাদের উপর কি আপনাদের আস্থা আছে? আস্থা নাই। কারণ যেই নেতারা তাদের কর্মীদের মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় সেই নেতাদের উপর কর্মীদের কোন আস্থা থাকে না। তৃণমূল নেতাদের কাছে আমি আশা করবো তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বলবেন, আপনারা দয়া করে আর পেট্টোল বোমা এবং গাড়ি ভাঙচুরের কর্মসূচি দেবেন না বরং নির্বাচনে যাওয়ার কর্মসূচি দিন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ নওশের আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েত ইসলাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, সংগঠনের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

শেয়ার করুন