স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক স্বামী

নিহতের স্বামী নামজুল হাসান

কুমিল্লা : মুদি দোকানে পরিচয়। এর পর প্রেম। তার পর বিয়ে। যৌতুক-তর্কে বাকবিতন্ডা শেষে স্ত্রী রত্না (২০)কে গলাটিপে হত্যার পর রাতের আঁধারে মরদেহ জঙ্গলে ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হলেন পাষণ্ড স্বামী নামজুল হাসান। এ সময় স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক নাজমুল হাসান আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মদিনগর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাজমুল হাসান কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় মুদি ব্যবসায়ী। ওই দোকানে দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের রত্নার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে উভয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক নাজমুল হাসান জানান, বিয়ের পর থেকে রত্না প্রায়ই টাকার জন্য চাপ দিত। শনিবারও তাকে দুই লাখ টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে রত্নার মরদেহ তোষকে পেঁচিয়ে অটোরিকশাতে করে বিমানবন্দর এলাকায় নিয়ে ফেলে দেয়ার সময় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আজিজুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নাজমুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন