প্রিয়াংকায় ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ

প্রিয়াংকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। ছবি সংগৃহীত

ভারতের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। নতুন করে অংক কষতে শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রিয়াংকা গান্ধীকে সক্রিয় রাজনীতিতে এনে চমক সৃষ্টি করেছে জাতীয় কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ”চাপে’ পরেছে বিজেপি’ এমন বক্তব্য তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) তাকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন : নাশকতার মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ির চেয়ারম্যান তোফাইল জেলে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রকে সর্বভারতীয় সংগঠন এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করা হল। তিনি উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধব রাও সিন্ধিয়ার ছেলে জ্যোতিরাদিত্যকে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসলে লোকসভা ভোটে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ও যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দলের দুই তরুণ নেতানেত্রীর হাতে দিয়ে মোদির বিরুদ্ধে আরও একবার মাস্টারস্ট্রোক দিলেন কংগ্রেস সভাপতি।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মেয়ে ৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াংকার রাজনীতিতে আসার খবরে কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ প্রিয়াংকার চোখ-মুখ ও ব্যক্তিত্বের মধ্যে দাদি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিচ্ছ্ববি। দুই নতুন নিয়োগ সম্পর্কে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য হল, ‘প্রিয়াংকা-জ্যোতিরাদিত্যর ওপর আস্থা রাখুন। ওরা দু’জনে আসন্ন নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ভালো ফল করবে।’

কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুধু দলের সাধারণ সম্পাদক নন, মা সোনিয়া গান্ধীর সংসদীয় আসন রায়বেরিলিতেও প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াংকা। অসুস্থতার কারণে এবার সোনিয়া ভোটে লড়বেন না। এই রায়বেরিলি থেকেই একসময় সংসদে নির্বাচিত হতেন স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী।

কলকাতার ব্রিগেডে ২৩টি আঞ্চলিক দলের মহাসমাবেশকে সমর্থন করে এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজেপিকে যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এবার কংগ্রেস কর্মীদের বহুদিনের প্রত্যাশিত আকাক্সক্ষা পূরণ করে বোন প্রিয়াংকাকে একেবারে সরাসরি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিলেন। বাবা রাজীব গান্ধী ও রাহুল নিজেও প্রথমে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। প্রিয়াংকা গান্ধী মা সোনিয়ার ভোট প্রচারে ও পরে দাদা রাহুলের হয়ে রায়বেরিলি কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্ব সামলাতেন।

তবে প্রিয়াংকার এমন আগমন সহ্য করতে পারছে না বিজেপি। দলটি প্রিয়াংকার দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছে, ‘রাহুলে ভরসা নেই, তাই নতুন মুখ নিয়ে আসা হল। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের পক্ষে হাওয়া উঠবে না। লোকসভা ভোটে জিতবে বিজেপি। ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি।’

শেয়ার করুন