গুলি বিনিময়ে ওসিসহ আহত ৩, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩ ডাকাত

অস্ত্রসহ গ্রেফতার ডাকাত

কক্সবাজার: চকরিয়ার লামা সড়কে পুলিশ-ডাকাত সাথে একঘন্টাব্যাপী গুলি বিনিময় হয়েছে। সড়ক ডাকাতি রোধ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে উভয়ের মধ্যে শত রাউন্ড গোলাগুলি হয়।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যে রাতে ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালু রাস্তার মাথা নিকটবর্তী সড়কে ঘটনা ঘটে।

পুলিশের পক্ষে থেকে ২৩ রাউন্ড ও ডাকাতরা অনন্ত ৭৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী
ও দুই উপ-পরির্দশক আহত হয়। পুলিশ ধাওয়া করলে ৪/৫জন পালিয়ে গেলে ও ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ৬টি দেশি বন্ধুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কাতুর্জ, ২টি চাকু একটি নকল চোরের মুখোশ উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নস্থ চকরিয়া-লামা-সড়কে বুধবার দিবাগত রাত দিকে ৭-৮জনের একদল ডাকাত ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালুর রাস্তা মাথা সড়কের মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। থানা
পুলিশ রাস্তায় ডাকাতি প্রস্তুতির গোপন সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী নের্তৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ডাকাত গুলি বিনিময় হয়।ডাকাত দল পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের তিন সদস্যকে পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এ সময় ডাকাতদের ছুঁড়া গুলিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এস আই আলমগীর ও এস আই সুকান্ত চৌধুরী আহত হয়।

ধৃত ডাকাতরা হলেন খুটাখালী গর্জনতলী এলাকার নুরুল হুদার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৮), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৫) ও মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাপুয়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে আবদুল হামিদ (৩০)।

আটকৃত ডাকতের বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতি প্রস্ততি ও অস্ত্র আইন ও পুলিশ আহত করার অভিযোগে পৃথক ৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।