সুজন দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব চান

দীর্ঘমেয়াদে কোচ হতে কোচ হতে আগ্রহী সুজন।

আসন্ন শ্রীলংকা সফরের জন্য খালেদ মাহমুদ সুজনকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ করার পরপরই তিনি দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে এখনো অফিসিয়ালভাবে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি তার।

তবে মাশরাফি-তামিমদের নিয়ে কাজ করার সুবিধার্থেই লম্বা সময়ের জন্য কোচ হতে আগ্রহী সুজন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার (১৭ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি চেয়েছি (দীর্ঘমেয়াদে কোচ হতে)।

আমার সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি এই ব্যাপারে। বোর্ড আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। আকরাম ভাই (বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান) আমাকে বলেছে, তুই আপাতত দেখাশোনা কর, যেহেতু এখন আমাদের কোচ নেই।

বোর্ড এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে অফিসিয়ালি কোনো যোগাযোগ করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি এতদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। দেশের স্বার্থে আমি সবসময় কাজ করে যেতে চাই।’

আগামী ২৬ জুলাই বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ মাঠে গড়াবে। আর সে লক্ষ্যে আগামী ২০ জুলাই দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তবে তার আগে প্রস্তুতি সেরে নিতে চলছে অনুশীলন ক্যাম্প।

তাই সফরের আগে বোর্ডের সঙ্গে সুজনের বৈঠকে বসার সম্ভাবনা কমই। সাবেক অলরাউন্ডার সুজন আরও জানান, ‘দেশের যদি আমাকে প্রয়োজন হয়, তবে আমি প্রস্তুত। তবে এখনো আমার সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ হয়নি। এর মধ্যে আমরা নতুন কোচ পেয়েও যেতে পারি।

এমন যদি হয়, তাহলে তো ভালোই। আপাতত এই দু-তিনদিন অনুশীলন সেশনে অবশ্যই কাজ করব। এরপর বোঝা যাবে, কি হবে না হবে। আপাতত যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সেটাই করি।

যেহেতু আমি দলের সঙ্গে থাকি, কোচ হিসেবে না থাকলেও ম্যানেজার হিসেবে থাকতাম। যেহেতু আকরাম ভাই বলেছেন, সেভাবেই কাজ করছি।’

‘সব কোচের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকে। স্টিভ রোডস যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তার কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ (টেস্ট) ভালো যায়নি। এরপর কিন্তু বাংলাদেশ তার অধীনে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতেছে।

সময়ের প্রয়োজন হয় পরিকল্পনা করার জন্য। যে কোনো কোচেরই এটা দরকার হয়। যদিও আমি বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানি। কারণ দলের সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই আছি।

তারপরও দীর্ঘ সময়ের জন্য সুযোগ পেলে যে কোনো মানুষের জন্য কাজ করতে অবশ্যই সুবিধা হয়’, যোগ করেন তিনি।

প্রতিটি সিরিজ চ্যালেঞ্জের হয়। তার ওপর শ্রীলংকা দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থাকায় আসন্ন সিরিজটি টাইগারদের জন্য আর চ্যালেঞ্জের। তবে সেটি মনে করছেন না সুজন।

তার কাছে প্রতিটি সিরিজই চ্যালেঞ্জের বলে জানালেন তিনি, ‘চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। বাংলাদেশের প্রতিটা টু্যরই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। অবশ্যই আমি যখন দলের সঙ্গে থাকি তখন আমিও চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকি।

ম্যানেজার হিসেবে কাজ করলেও চ্যালেঞ্জ থাকে। যদিও আপাতত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এটার জন্যও চ্যালেঞ্জ থাকবে। শ্রীলংকা সিরিজটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। যদিও আমরা এই সিরিজে কিছু খেলোয়াড়কে মিস করব।

তবে আমি মনে করি আমাদের দলটি যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। শ্রীলংকার সঙ্গে আমরা এর আগেও খেলেছি। যদিও শেয়ানে শেয়ানে লড়াই হয়। তবুও আমি আশা করি আমরা এবার ভালো করব।’

শ্রীলংকা সফরের দলে নেই সাকিব ও লিটনের মতো দুজন কার্যকরী খেলোয়াড়। কিন্তু তাদের দলে না থাকাটা বড় করে দেখছেন না সুজন, ‘এটা আমাদের বেস্ট পসিবল দল।

যেহেতু নির্বাচকরা দিয়েছেন অবশ্যই এটা বেস্ট দল এবং সকলেই এখানে সামর্থ্যবান। সবাই অভিজ্ঞ, আমি মনে করি অবশ্যই এই দল নিয়ে ভালো করা সম্ভব।

সাকিব দলে না থাকা ক্ষতি তো অবশ্যই হয়েছে। সাকিবের জায়গা তো পূরণীয় নয়। সাকিব তো সাকিবই। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ওকে না পাওয়া স্বাভাবিকভাবে আমাদের দলের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটবে। তবে যারা আছে তাদেরকে নিয়েই লড়তে হবে।’

শেয়ার করুন