বিয়ের আসরেই বরের মৃত্যু রাঙ্গুনিয়ায়

বিয়ের আসরেই বরের মৃত্যু রাঙ্গুনিয়ায়

কথা ছিল মেহেদী রঙ্গে সাজবে। প্রস্তুতিও ছিল বাড়ির সবার। সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই দাওয়াত নামা ছাপিয়ে মেহেমান দাওয়াত থেকে শুরু করে কয়েক দিন ধরে ঘর সাজানো, বিয়ের প্যান্ডেল, গেইট, লাইটিংসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। অপেক্ষা শুধু নতুন বউ ঘরে তোলার। কিন্তু না, সে আশা আর পূর্ণ হলো না বরের। মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলেন তিনি। বিয়ের গেট দিয়ে বেড়িয়ে এলেন খাটিয়ায় চড়ে। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট নলুয়ারপাড়া এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিয়ের আসরেই মৃত্যু হয় ওই এলাকার মোহাম্মদ জাফর আহম্মদের প্রবাস ফেরত পুত্র মোহাম্মদ সোলাইমানের (৩০)।

আরো পড়ুন : হুমায়ূনের বোতল ভূত নিয়ে হাজির শাওন
আরো পড়ুন : বান্দরবানে ডেঙ্গু আক্রান্ত মহিলা আ’লীগ সভাপতির মৃত্যু

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার মেহেদী রাত ছিল এবং বৃহস্পতিবার ছিল তার বিয়ে অনুষ্ঠান। কিন্তু মেহেদীর দিন সকাল ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন বলেন, পাত্রির সাথে তার ১০ দিন আগে সামাজিকভাবে আকদ হয়। বুধবার মেহদী অনুষ্ঠান ও বৃহস্পতিবার বিয়ে অনুষ্ঠান ছিল। এজন্য বিয়ের ক্লাব, ঘর সাজানো, মেহেমান আসা সহ যাবতীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। আগেরদিন রাত থেকেই তার শরীর খারাপ লাগার বিষয়টি বাড়ির লোকদের জানিয়েছিল। সকালেও নতুন বউয়ের সাথে তার ফোনে কথা হচ্ছিল। কিন্তু কথা বলতে বলতেই খারাপ লাগতেছে বলে মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। স্থানীয়রা তার চোখেমুখে পানি দেওয়ার পরও তার জ্ঞান ফিরছিল না। পরে তাকে চন্দ্রঘোনা মেশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

পরিবারের স্বজনরা জানায়, নিহত সোলাইমান পরিবারের সবার বড় সন্তান। দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিল সে। সম্প্রতি দেশে ফিরলে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন এলাকা থেকে তার বিয়ের পাত্রি ঠিক হয়। গত ১০ দিন আগে তার আকদও সম্পন্ন হয় ওই মেয়ের সাথে। সেই থেকে ফোনে তাদের নিয়মিত কথা হতো। মারা যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত তার সাথে কথা হয়েছিল বর সোলাইমানের। কিন্তু যেদিন তার মেহেদী রাত ছিল সেদিন বিয়ের আসরেই সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। একই দিন বাদে আ’সর জানাজা নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

শেয়ার করুন