
চট্টগ্রাম : নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত অন্তত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেন বাইপাস সড়ক নির্মাণ করতে যথাযথ নকশা অনুসরণ করেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। পাহাড় কাটার সময় স্লোপ রাখার প্রয়োজন আছে বলেই নকশাতে তা রাখা হয়েছে। কিন্তু সিডিএ কর্তৃপক্ষ তা অনুসরণ করেনি। এতে মানুষের জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সড়ক পরিদর্শনশেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
আরো পড়ুন : বিএনপির আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো : তথ্যমন্ত্রী
আরো পড়ুন : বান্দরবান ডিসির স্বাক্ষর জালিয়াতি, মাদ্রাসা সুপার সৈয়দ হোসাইন কারাগারে
মন্ত্রী বলেন, যতটুকু দেখেছি তাতে প্রমাণ হয়েছে এ রাস্তা তৈরিতে নকশা মানা হয়নি। পরিদর্শন শেষে কি করা যায় তা বিকেলে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
পরিবেশের ক্ষতিপূরণ ১০ কোটি টাকায় সমাধান হতে পারে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। এটি টাকার অঙ্কের কোনো বিষয় না, মানুষের যানমালের বিষয়। কাজেই আমি মনে করি, রাস্তাটি পরিকল্পনা অনুযায়ী করলে যানমালের কোনো ক্ষতি হতো না। যেভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে সেটা যে করেই হোক আমাদের বন্ধ করতে হবে। এজন্য সচেতনতা দরকার, যা গণমাধ্যম তুলে ধরবে।
প্রসঙ্গত, বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে অনুমোদনের অতিরিক্ত পাহাড় কাটার দায়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পটি প্রথম গ্রহণ করা হলে প্রাথমিকভাবে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয় এ প্রকল্প। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ৩২০ কোটি টাকা।