পেরোল হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্তি, খালেদার আইনী মুক্তি নয় : তথ্যমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আলহাজ নুরুচ্ছাফা তালুকদারের স্মরণসভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

চট্টগ্রাম : পেরোল হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্তি। বিভিন্ন বন্দিদের পেরোলে মুক্তি দেয়া হয়। এটি কোনভাবেই আইনের মাধ্যমে মুক্তি নয় এটি একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কারো নিকটাত্মীয় স্বজন মৃত্যুবরণ করলে বা অন্যকোন বিশেষ কারণে নানা সময় পেরোলে মুক্তি দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত কারণে পেরোলে মুক্তি চান কিনা, তাদের দল বারবার বলছে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। গত ১১ বছরে বিএনপির পক্ষে কোন আন্দোলন করা সম্ভবপর হয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কোন ক্ষমতা বিএনপির নাই।

আরো পড়ুন : দীঘিনালায় সরকারি গাছ কেটে নিলো ছাত্রলীগ নেতা
আরো পড়ুন : মাত্র ৫০ দিনে ১ কোটি ফলোয়ার শিল্পার

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির অডিটরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীর পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি মরহুম এডভোকেট আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, পেরোলে মুক্তির জন্য আবেদন করলেই যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হবে বিষয়টি সেরকম নয়। খালেদা জিয়ার পেরোলে মুক্তি আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যাগুলো বহু পুরনো, সেই সমস্যা গুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার বহু চেষ্টা করেছে।

স্মরণসভা পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে এডভোকেট নিখিল কুমার নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অঅইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক, আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুর রশিদ, আয়ুব খাঁন, অশোক কুমার দাশ, মহানগর পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা পিপি নাজমুল আহসান খাঁন।

স্মরণ সভায় মরহুমের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মরহুমের সহধর্মিনী এডভোকেট কামরুননাহার বেগম।

বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে পেরুলে মুক্তি দিতে চাই সেটাকে বিএনপি আন্দোলনের বিজয় বলছে। যদি খালেদা জিয়ার পেরুলে মুক্তির বিষয় প্রতিষ্ঠিত হয় সেটা কি আন্দোলনের ফল নাকি মানবিকতা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার কিংবা তার দল কোনটার পক্ষ থেকে পেরুলে মুক্তির আবেদন জানানো হয়নি। তারা মুক্তির কথাটা বলছেন টেলিভিশনের সামনে ও গণমাধ্যমে। আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি পরিবারের পক্ষ থেকে পেরুলে হলেও তার মুক্তি চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৪ সালে যখন বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন তার সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এবং তার পুত্রের তত্ত্বাবধানে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া দূর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে সাজা ভোগ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি জিঘাংসার রাজনীতি করতেন তাহলে তিনি এখন কারাগারেই থাকতেন। তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকতেন না।

শেয়ার করুন