ছাড়পত্রের অপেক্ষায় চীনের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরা মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশ থেকে দেশের গবেষণাগারে যখন ভ্যাকসিন তৈরির প্রাণ-পণ চেষ্টায় ঘাম ঝড়াচ্ছে বিজ্ঞানীরা_তখন আশাজাগানিয়া খবর দিল চীন। দেশটির সিনোভাক নামের একটি সংস্থার দাবী তাদের গবেষণাগারে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজন ছাড়পত্রের। ছাড়পত্র পেলে গণহারে ভ্যাকেসেরন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। সিনোভাকের জোড়ালো দাবী, তাদের গবেষণাগারে প্রস্তুত ভ্যাকসিনই করোনা ঠেকাতে কার্যকর হবে।

এই মুহূর্তে (শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত) বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫০১ জনের। তাই আর দেরি না করে গণহারে করোনা ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক উৎপাদন করতে চীনা এই প্রতিষ্ঠাননি। তবে, গণহারে উৎপাদন শুরুর আগ তাদের আরও কয়েকটি ধাপ পেরোতে হবে।

আরো পড়ুন : অবশেষে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি
আরো পড়ুন : পঙ্গপাল নয়, টেকনাফে ক্ষতিকর পোকায় খাচ্ছে গাছের পাতা

এরমধ্যে করোনা বিপর্যয়ে চারটি সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তার একটি সিনোভ্যাক বায়োটেকের। বানরের পর মানব শরীরেও পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। খবর : সিএনএ

সিনোভ্যাক জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। একটি নিষ্ক্রিয় প্যাথোজেনের ওপর ভিত্তি করে, এই ভ্যাকসিনের হাজারো শট সাদা-কমলা রঙের একটি প্যাকেজে সজ্জিত করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে করোনাভ্যাক। সংস্থার দাবি, ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ।

বৃহৎ পরিসরে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করতে তারা সক্ষম কি না, ছাড়পত্র পাওয়ার আগে সে প্রমাণও দিতে হবে সংস্থাটিকে। এর আগে এই সিনোভাকই সোয়াইন ফ্লু’র ভ্যাকসিন গণহারে উৎপাদন করেছিল । তাই অনেকেরই আশা, চীনের এই সংস্থাটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম হবে।

সূত্রের খবর, সিনোভ্যাক গত এপ্রিল মাসেই চীনের পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশে ১৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর প্রথম দু’টি পর্যায়ের পরে, জুনের শেষে ভ্যাকসিনটির আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।

পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ শেষ হলেই বোঝা যাবে ভাইরাসের বাহকের মধ্যে ভ্যাকসিনটি কার্যকর কি না। তবে সিনোভাক তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ, চীনে ভাইরাসটির সংক্রমণ কমে যাওয়ায়, ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক তারা পাচ্ছে না।

সিনোভ্যাকের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ডিরেক্টর মেং উইং বলেন, বর্তমানে আমরা ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছি। তৃতীয় ধাপের জন্য কয়েক হাজার লোকের প্রয়োজন হবে। তবে ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য কোনও দেশ থেকে এই পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবী পাওয়া সহজ হবে না বলেই তারা মনে করছেন। এই ধাপে সাফল্য পেলে পর্যাপ্ত টিকা তৈরির অনুমোদন আদায়ে সময় লাগবে না।

শেয়ার করুন