ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি বিকাশে কাজ করছে সরকার : মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি বিকাশে কাজ করছে সরকার : মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু

শংকর চৌধুরী (খাগড়াছড়ি) : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেছেন, বর্তমান সরকার টানা একযুগ ধরে দেশের সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা-সাহিত্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি মেধা বিকাশে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। পার্বত্যাঞ্চলের তিনটি জেলায় তিনটি পৃথক সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটকে পৃথক আইনী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে সরকার, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়েছে। এখন সেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্ব স্ব ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আরো বেশি এগিয়ে যেতে হলে নিজেদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী লেখক, সুরকার, গীতিকার, শিল্পী, যন্ত্রী ও বিভিন্ন গুণীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটর উদ্যোগে, সাংস্কৃতিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন : নির্বাচন বানচালের ইস্যু তৈরি করছে আওয়ামী লীগ : আমির খসরু
আরো পড়ুন : লীজের আড়ালে কোম্পানীর পেটে রেলের ভূমি

সংবর্ধিত গুণীজনদের মধ্যে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সঙ্গীতে রতন কুমার ত্রিপুরা, গবেষণায় মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, সাহিত্যে শোভা রাণী ত্রিপুরা, পাঙখুং (মারমা গীতিনাট্য) এর সংগঠক থুইহ্লাঅং মারমা, তহ্ লা নৃত্য সংগঠক জংজশিং মারমা, ‘নিবেং নেসু’ লোক ঐতিহ্যে মংক্যচিং মগ এর হাতে সম্মাননা স্মারক এবং নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এবং সংস্কৃতি ও সমবায় বিভাগের আহবায়ক নিলোৎপল খীসা’র সভাপতিত্বে এবং ইনস্টিটিউটর উপ-পরিচালক জিতেন চাকমার সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমী পুরষ্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা।

সভায় প্রধান অতিথি পাজেপ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সম্প্রদায়ভিত্তিক পরিকল্পিত সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় সমাজের প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক ও চিন্তাশীল ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।