অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী আটক খাগড়াছড়িতে, জনমনে স্বস্তি

আটক সুনীল চাকমা(২৭) ওরফে সুভাষ

খাগড়াছড়ি : জেলার দীঘিনালায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সুনীল চাকমা(২৭) ওরফে সুভাষকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। সন্ত্রাসী সুভাষ আটকের খবরে পুরো এলাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।

বুধবার (১০ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার বাবুছড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, পাহাড়ের আঞ্চলিক স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ মূল এর কতৃক হত্যা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এহেন কর্মকান্ড নির্মূলের লক্ষে খাগড়াছীড় রিজিয়ন কতৃক গোয়েন্দা ও অপারেশন কার্যক্রম বৃদ্ধি করার ফলশ্রুতিতে গত ১লা মার্চ দীঘিনালা সেনা জোন কতৃক একটি সফল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ (মূল) দলের সশস্ত্র ৪ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিপুল পরিমাণ চাঁদার টাকাসহ আটক করা হয়।

আরো পড়ুন : কৈফিয়ত
আরো পড়ুন : সীতাকুণ্ডে শুরু শিব চতুর্দশী মেলা

এরই ধারাবাহিকতায়, ১০ মার্চ গভীর রাতে বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে দীঘিনালা জোন ১ জন সশস্ত্র ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীর চলাচলের তথ্য পায়। ওই তথ্যের সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে দীঘিনালা জোনের অধিনস্থ বাবুছড়া ক্যাম্প এলাকায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এ্যামবুশ পরিচালনা করা হয়। রাত সোয়া ১২ টারদিকে ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেল বাবুছড়া থেকে দীঘিনালা যাওয়ার পথে আরোহিদের চ্যালেঞ্জ করে দাঁড়ানোর সংকেত দেয়া হয়। হঠাৎ চলন্তবস্থায় বাইক থেকে একজন লাফ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে ওপারেশনরত দল তাকে আটক করে।

এ সময় অভিযানিক দল তাৎক্ষণিক তল্লাশি করে তার কাছ থেকে একটি পিস্তল (৭.৬৫ মি. মি. চায়না), ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড
এ্যামোনিশেন, নগদ ১৭ হাজার ৬শ ৩৫টাকা, দুটি মোবাইল ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

আটকৃত সুভাষ চাকমা আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ মূল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী। সে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ও চাঁদাবাজীর লক্ষ্যে মটরসাইকেল নিয়ে বাবুছড়া থেকে দীঘিনালায় আসছিল। সুনীল চাকমা একজন চিহিৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। অবৈধ চাঁদার জন্য সে দীর্ঘ ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষকে হয়রানী, নির্যাতন করে আসছিলো বলে জানান নিরাপত্তা বাহিনী।

তার আটকের খবরে জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে জনমনে। এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং সাধারণ মানুষ মনে করছেন, নিরাপত্তা বাহিনী উক্ত সন্ত্রাসীর মত সকল সন্ত্রাসঅদের আইনের আওতায় নিয়ে এরেই পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে। ভবিষ্যতেও নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসনের এমন আইনের প্রয়োগ চলমান রাখার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। এ ধরনের অভিযোন আগামীতে অব্যাহত থাকবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর আইনি পদক্ষেপ চলমান থাকবে বলেও জানান নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রটি।