পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবতাবিরোধী অভিযোগ
রাজা দেবাশীষ রায়কে অপসারণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত দাবীতে মানব বন্ধন বিক্ষোভ

রাজা দেবাশীষ রায়কে অপসারণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধী চাকমা রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে নির্মিত সকল স্থাপনার নাম ৯০ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের হাইকোর্টের আদেশের পর এবার তারই সন্তান রাজা দেবাশীষ রায়ের অপসারণ ও সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবীতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের একাংশ।

বুধবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা শহরের শাপলা চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ২২মে হাইকের্টের আদেশের আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধী চাকমা রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে নির্মিত সকল স্থাপনার নাম দ্রুত পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয় জানিয়ে নেতৃবৃন্দরা ত্রিদিব রায়কে স্বাধীনতা রিরোধী অভিযোগ এনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ইঞ্জি: মুহাম্মদ লোকমান হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির (সাবেক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জি: আব্দুল মজিদ।

রাজা দেবাশীষ রায়কে অপসারণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত দাবীতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭১সালে স্বাধীনতার সংগ্রামে এই রাজাকার ত্রিদিব রায় পাক হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন) এ অসহায় পার্বত্য বাসীর উপর হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট, ধর্ষনসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ পরিচালনা করেছে। সারাদেশে বর্তমান সরকারের মানবতা বিরোধীদের বিচার করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোয়ার বাহিরে।

অবিলম্বে এই মানবতা বিরোধী রাজাকার ত্রিদিব রায়ের মরনোত্তর বিচার ও তার নামে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী রায়ের দ্রুত কার্যকর এবং তার ছেলে রাজা দেবাশীষ রায়ের নামে সকল সম্পত্তি ও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা বাতিল করার দাবী জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, নজরুল ইসলাম মাসুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ আসাদ মাটিরাঙ্গা উপজেলা সভাপতি রবিউল হোসেন, কলেজ সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস প্রমুখ।

গণতান্ত্রিক দেশে রাজতন্ত্রের নামে এই সকল সার্কেল চীফ রাজা প্রথা বাতিল করে ও অসহায় মানুষের ভূমি থেকে খাজনার নামে চাঁদাবাজী বন্ধ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান বক্তারা ।