গাজীপুর কারাগারে বন্দিদের ঈদ উদযাপন

দেশের বিভিন্ন কারাগারের ন্যায়  বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় গাজীপুর কারাগারে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্দিদের পরিবেশন করা হয়েছে উন্নত খাবার। অনেক হতদরিদ্র্য বন্দি ও তাদের সন্তানদের দেয়া হয়েছে ঈদবস্ত্র। বিনোদন এবং খেলাধূলার আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা সূত্র জানায়, কারা কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই বিশেষ খাবার, বিনোদনের ব্যবস্থা করে থাকে। গাজীপুরের কারাগারগুলোতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া অনেক বন্দির পরিবারের সদস্য বা স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার দিয়েছেন।

গাজীপুরে রয়েছে পাঁচটি কারাগার। এর মধ্যে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপরটি গাজীপুর জেলা কারাগার।

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেলার ফোরকান ওয়াহিদ জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারাগারে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এদিন সকাল ৭টায় বন্দিদের দেওয়া হয়েছে নাস্তা। নাস্তায় ছিল পায়েস এবং মুড়ি। সকাল সাড়ে ৮ টায় কারাগারের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। কারা কর্মকর্তা ও বন্দিরা এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। দুপুরে পরিবেশন করা হয়েছে ভুনা খিচুরি, মাছ ও ডিম। আর রাতে খাবার দেওয়া হয়েছে পোলাও, গরুর মাংস, সালাদ, মিষ্টি, কোল্ড-ডিঙ্কস, পান সুপারি।

তিনি আরো জানান, বন্দিরা নিজেদের ইচ্ছামতো খেলাধুলা, সাংস্কুতিক অনুষ্ঠান করেছেন। মঙ্গলবার এ কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্টাফ-বন্দি প্রীতি ত্রিকেট ম্যাচ।

কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় করাগার-২ এর ডেপুটি জেলার মোঃ আবুল হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টায় ফিন্নি আর মুড়ি নাস্তা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে দেওয়া হয় সাদা ভাত, আলুর দম, রুই মাছ। রাতে গরুর মাংস, মুরগির মাংস, পোলাও, ডিম, সালাদ, মিষ্টি ও পান সুপারি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে বন্দিরা।

ঈদ উপলক্ষে রবিবার গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীর জেলা কারাগার এবং কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের চারটি কারাগার পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বন্দি হাজতি ও তাদের সন্তানদের কাপড় বিতরণ করেন।

জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, কয়েদিদের নির্ধারিত মান অনুযায়ী সরকার পোশাক দেয়। আর যারা হাজতি আছে, তাদের পোশাক দেওয়ার পদ্ধতিটা এখনও চালু হয়নি। পরিদর্শনে এসে দেখেন, তাদের পোশকের প্রয়োজন। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদ উপহার হিসেবে হাজতিদের পোশাক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে অনেকে হতদরিদ্র বন্দি ও তাদের বাচ্চা আছে। দায়িত্ব থেকেই তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান তিনি।