পরাজয় মেনে নিয়েও  জনগণের পাশে ইরান।

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ
সদ্য সমাপ্ত ৬ষ্ঠ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাইদ ইরান।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দীন মুহুরী। এই নির্বাচনে নবীন আর প্রবীণে তুুমুল লড়াই হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সিয়ানে সিয়ানে। ১৮/২০ দিনের প্রচরণায় ছিল প্রচুর ব্যস্ততা। দুই পক্ষে র দিন রাত এক হয়ে যায় প্রচার প্রচরণায়। পথসভা গণসংযোগ সিডিউল আকারে চলতে থাকে। একঘন্টা যেন একদিন হয় প্রার্থীর জন্য।  উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে ঘনিয়ে আসে নির্বাচন। ফটিকছড়ি প্রশাসন নজীর বিহীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সফল হয়। দুই প্রার্থীর মধ্যে এক পক্ষের নির্বাচন সুষ্ঠ নিয়ে অভিযোগ থাকলেও অপর পক্ষের তেমন কোনো অভিযোগ ছিলনা।  তবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন নিয়ে জরিমানা ছিল চোখে পরার মত। শেষতক, সকল উদ্বেগ উৎকন্ঠা পেরিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে বর্তমানে উপজেলায় সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ বজায় আছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া নাজিম উদ্দীন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করে আগামী ৫ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন পক্ষান্তরে ফটিকছড়ি উপজেলার রাজনীতির ময়দানে একেবারে নতুন তরুণ প্রজন্মের নেতা হয়েও বখতিয়ার সাইদ ইরান প্রথমবার নির্বাচন করতে এসে চমক সৃষ্টি করেন। সমান তালে লড়ে তিনি নির্বাচন মাঠে ও ফটিকছড়ির রাজনীতির মাঠে নিজ অবস্থান জানান দেন।বখতিয়ার সাইদ ইরান নির্বাচনে এই প্রথম হলেও মহুরীর জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাচন। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও নির্বাচন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সেহেতু তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে অভিজ্ঞতা যথেষ্ট রয়েছে। পক্ষান্তরে ইরান জাতীয় নির্বাচনে প্রচার প্রচরণায় অংশ নিলেও মাঠ পর্যায়ে সবকিছু অবগত নয়। সেহেতু প্রথম বার নির্বাচন হিসেবে অভিজ্ঞতার বেশ ঘাটতি ছিল। সাধারণ মানুষ মনে করেন আগামীতে সেই সকল ভুল ত্রুটি শুধরে আরো বেশি মাঠ পর্যায়ে সম্পৃক্ত হয়ে মাঠে নামবেন।
নির্বাচন শেষে নাজিম মহুরীর শিবিরে চলছে আনন্দ উল্লাস,মিছিল বাদ্য বাজনা সহ বিভিন্ন আয়োজন। পক্ষান্তরে বিজীত বখতিয়ার সাইদ ইরান বসে না থেকে মাঠ পর্যায়ে সকল সমর্থকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, হাসি মুখে সমর্থকদের সাথে কুশল বিনময় করে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ তিনি সাথে ছিলেন ভবিষ্যতে সাথে থাকবেন এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি ফটিকছড়ির উত্তরে হারুলছড়ি সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে নানুপুর, বখতপুর, ধর্মপুর, জাফতনগর সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ছুটে যান এবং কর্মী সমর্থকদের সাথে বসে চা আড্ডায় মেতে ওঠেন। হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলে যাচ্ছেন। এই প্রতিবেদক তার  সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ফটিকছড়ির সন্তান। ফটিকছড়ির মাঠি, মানুষ, মা বোন, ভাই বাবা আমার আত্মার আত্মীয়। আমি আপনাদের সন্তান
আপনাদের ভালবাসা কোন দিন ভুলবো না। মাত্র ১৫/২০ দিন গণসংযোগ কালে মাঠে ময়দানে, রাস্তা ঘাটে, দোকান পাটে আপনাদের যে ভালবাসা, আদর,যত্ন, স্নেহ পেয়েছি তার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। অতীতে ছিলাম,বর্তমানেও  আছি ইনশাআল্লাহ  ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকবো। সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ অনুরাগ নেই। নির্বাচন প্রচার কালেও আমার কোনো অভিযোগ ছিলনা এখনও নেই।  আপনাদের ছোট্ট সন্তান হিসেবে যা পেয়েছি তাতে আমি মুগ্ধ। কিছু ইউনিয়নে কিছু বিছিন্ন ঘটনা হয়েছে যাহার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনে হারের সকল ব্যর্থতা আমার কাদে নিয়ে আমি আমার সকল সমর্থক কে আমার মনের অন্তস্তল থেকে হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা জানাচ্ছি। আমার সমর্থকরা আমার জন্য যথেষ্ট আন্তরিকতা দিয়েছে, ভালবাসা দিয়েছে।
আমার রাজনীতি সবসময় ফটিকছড়ি বাসীর কল্যাণের জন্য নিবেদিত থাকবে।  নির্বাচনী গণ-সংযোগে প্রতিটি মুহূর্ত আমি আপনাদের ভালবাসা অনুভব করেছি যাহা  আজীবন হৃদয়ে ধারন করবো।আমাকে আপনাদের পাশে রাখবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই বলে তিনি দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই একই ঘরনার লোক একই ঘরনার মানুষ। কেউ কারো সাথে হিংসা বিদ্বেষ না রেখে কাদে কাদ মিলিয়ে ফটিকছড়ির উন্নয়নের জন্য কাজ করে যান।

শেয়ার করুন