জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের দাবী
প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি

জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের দাবীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করছেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম নেবৃতৃন্দ। ছবি : নয়াবাংলা

চট্টগ্রাম : নগরীর জলাবদ্ধতা স্থায়ী সমাধানে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের দাবীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

রোববার (৯ জুলাই) বেলা ১২টায় ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।  স্মারক লিপি গ্রহণকালে বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। নগরবাসির দু:খ জলাবদ্ধতা নিরসনে নিশ্চয়ই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান অগ্রাধিকার ও জরুরিভাবে প্রয়োজন মনে করে।  এ জন্যে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক ফোরাম।  তা না হলে চট্টগ্রাম ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যাবে, যা জাতীয় অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।  নগরীর জলাবদ্ধতা সমাধানের জন্যে ক’দিন আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চায়নার একটি কোম্পানির সাথে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।  পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতায় উল্লেখ করে নাগরিক ফোরাম জানতে চায়, ১৯৯৫ সালের মাস্টার প্ল্যান বাদ দেয়ার কারণ কি? এর একটি অংশ ছিল-বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী সেতু পর্যন্ত নতুন বিকল্প খাল খনন এবং এটি শুরু করার কথা ছিল অক্টোবর ২০১৫ থেকে।  অনেক বরাদ্দ দিলো, কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও এ ব্যাপারে চুপচাপ রয়েছেন।  অতীতে অনেক কাজ হয়েছিল সত্য, কিন্তু নিয়মিত খাল, উপখাল ও নদী ড্রেজিং না করা এবং মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়ায়, সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

নাগরিক ফোরাম বিশ্বাস করে,  ১৯৯৫ সালে মাস্টার প্ল্যানের ভালো দিকগুলি কম সময়ের মধ্যে ও কম অর্থে বাস্তাবায়ন করা যায় এবং ১৩ বৎসর অপেক্ষা করার প্রয়োজন নাই।  নাগরিক ফোরাম আরও দাবি করেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলি এবং বিশেষজ্ঞ  প্রতিনিধিও এ সমস্যার উপর উৎসাহী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।  চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম এতে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা দেবে।

স্মারকলিপিতে আরোও উল্লেখ করা হয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা ও বড় ধরনের অর্থ বরাদ্দ ব্যতীত চট্টগ্রাম নগরির জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান কোনও ভাবে সম্ভব নয়। তাই, চট্টগ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সদ্য পাসকৃত বাজেট থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

স্মারক লিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মিলন কান্তি রায় চৌধুরী, অধ্যাপক সামসাদ সাত্তার, আন্ত: জিলা কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মনির আহমেদ, অধ্যক্ষ দিলীপ চৌধুরী, এড মো. হেফাজ উদ্দিন, ডা. শেখ জাহেদ জাফর আহমদ, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব দাশগুপ্ত, লায়ন মো. কামরুজ্জমান মিন্টু, সেবক চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি আকরাম হোসেন, জসিম উদ্দিন খন্দকার, রহিমা আক্তার ডলি, ফটোগ্রাফার সমীর পাল, এম আর জসিম সিকদার, আবদুল নবী, আবু সৈয়দ রাসেল, খোকন মজুমদার রাজিব, মো. আলী।

শেয়ার করুন