রাস উৎসবে কংজরী চৌধুরী
“সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করুন”

চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব পরিদর্শন করেন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে ধর্মীয়-সংস্কৃতি এবং ভাষাগ্রত বৈচিত্র্যর জনপদ হলো ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’। ঐতিহাসিকভাবেই এ অঞ্চলের পাহাড়িরা শান্তিপ্রিয় এবং অতিথি পরায়ন। সময়ের পালাবদলে এবং নানা রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেমন বেড়েছে পাহাড়ে মানুষ। তেমনই বেড়েছে নানা ধর্মীয় আচার-আচরণ আর উৎসবও । এসবই এ অঞ্চলকে দেশে-বিদেশে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে।

কিন্তু একটি মহল পাহাড়ের সকল ধর্মের বর্ণিল এই উৎসবে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টিতে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের সম্মিলিত ভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান কংজরী চৌধুরী। খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব অঙ্গন পরিদর্শনকালে সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে পাচঁদিন ব্যাপী ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ, রাস লীলা প্রদর্শনী উৎসব চলছে। উৎসবের তৃতীয় দিনে শনিবার খাগড়াছড়ি শহরের কেন্দ্রীয় লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে বেলা ১২টা থেকে পার্থিব সকল জীবের মঙ্গল কামনায় পূজা, ভোগরাগ পাঠ ও আরতি কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। আরতি শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিমা দর্শন ও প্রার্থনা করেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ভক্তরা।

কমিটিতে নিকট নগদ অর্থ প্রদান করছেন কংজরী চৌধুরী।

রাস উৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কীর্তনীয়া দল অহোরাত্র মহানাম সংকীর্তন পরিবেশন করেন। কীর্তন উপভোগ করতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। সোমবার মহালছড়িতে ঊষালগ্নে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি ও নগর পরিক্রমার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাচঁদিনের রাস উৎসব।

রাস উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি শহরের শহীদ কাদের সড়কসহ বিভিন্ন উপজেলায় বসেছে গ্রামীণ মেলা। জেলা সদর ছাড়াও রামগড়, মহালছড়ি, ভাইবোনছড়া ও দীঘিনালা উপজেলার মন্দিরগুলোতেও চলছে রাস উৎসব। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী দুপুর ১২টায় জেলা সদরস্থ শ্রী শ্রী লক্ষীনারায়ণ মন্দির ও দুপুর ২টায় দিঘীনালার বোয়ালখালী নারায়ন মন্দির ও মহালছড়ি কালি মন্দিরে ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব পরিদর্শন করেন ।

এসময় তিনি মন্দিরে উপস্থিতি ধর্ম প্রাণ পূণ্যার্থীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণেও অংশ নেন। এছাড়াও উৎসব উদযাপনে পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং তাৎক্ষনিক কমিটির নিকট নগদ অর্থ প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদস্য শতরূপা চাকমা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলা মং চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন