[caption id="attachment_21911" align="aligncenter" width="691"]
এই সেই বাড়ি। যেখানে ঢুকতে দিচ্ছেনা শারমিনের চাচাতো ভাইয়ের লোকজন। (ইনসেটে) শারমিন। ছবি : প্রতিনিধি[/caption]
সানোয়ারুল ইসলাম (মীরসরাই) : মীরসরাই উপজেলার ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়নের পূর্ব কাটাছরা গ্রামের পিতামাতাহীন পিতৃমাতৃহীন আফসানা শারমিনকে নিজ গৃহে ঢুকতে দেয়নি আপন চাচাতো ভাইয়েরা। এর আগে শারমিনের সকল সম্পদ দখল করে নেয়া তারা। এসময় দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ও এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
শুক্রবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল্লাহ, ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইব্রাহিম, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ চৌধুরীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে।
[caption id="attachment_21912" align="aligncenter" width="691"] শারমিনকে নিজ ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেনা চাচাতো ভাইয়ের লোকজন। ছবি : প্রতিনিধি[/caption]
আফসানা শারমিন জানান, দুবছর আগে পিতা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়েজ উল্লাহকে হারায়। গত ১০ মাস পূর্বে মাও মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর কয়েকমাস পূর্বে কন্যাকে বিয়ে দেন জনৈক বেলায়েত হোসেন এর পুত্র নাজমুল হোসেন এর সঙ্গে । মায়ের মৃত্যুর পর নিজবাড়ীতে একা বসবাস করছিল শারমিন। পরে কিছুদিনের জন্য চট্টগ্রাম শহরে স্বামীর কাছে আসে। এসময়ে আপন চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন, জাহেদ হোসেন বাড়ীর গেট ও ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে সব দখল করে নেয়।
অশ্রুসিক্ত শারমিন উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন-আমার পিতা মাতার একমাত্র সম্বল আমার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে ওরা আমাকে ও আমার স্বামীকে নিয়ে থাকতেও দিচ্ছে না। এখন আমার পৈত্রিক এই বাড়ী ও বাহিরের সকল সম্পদ দখল করার জন্য ওরা আমাকে ও পালক মেয়ে বলে প্রচার করছে। এমন অন্যায়ের সুবিচার কি আমি পাবো না।
[caption id="attachment_21913" align="aligncenter" width="691"] শারমিনকে নিজ ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেনা চাচাতো ভাইয়ের লোকজন। ছবি : প্রতিনিধি[/caption]
এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৃত ফয়েজ উল্লাহ তার জীবদ্বশায় উক্ত বাড়ি নিজে তৈরী করে স্ত্রী ও উক্ত কন্যা শারমিন সহ বসবাস করতো। ফয়েজ উল্লাহর মৃত্যুর পর চাচাতো ভাইয়েরা এখানে সম্পদ পাবে বলে দাবী করে। এই বিষয়ে উক্ত বাড়িতে বর্তমানে বসবাস করা প্রতিপক্ষ চাচি ষাটোর্ধ তাহেরুন্নেছা বলেন-ওরা দুই ভাই মিলেই এই জমিতে এই ঘর করেছিল। বাজারে দোকান ও ব্যবসা কেন্দ্রীক বিভিন্ন লেনদেনও ছিল।
এবিষয়ে দখলদারকারীগনের পক্ষে জনৈক মোমিনুল হক এই বাড়ী বিষয়ে আদালতে মামলার কয়েকটি রায় রয়েছে বলে জানায়। তবে কোন রায়ের কপি তিনি এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত দেখাতে পারেননি।
ঘটনার অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর বলেন উক্ত বাড়ীর সকল প্রকার যাচাই বাছাই অনুযায়ী উক্ত বাড়ীর প্রকৃত মালিক মৃত ফয়েজ উল্লাহ। শারমিনকে বাবা এই বাড়ী দিয়ে যাওয়ায় তার কন্যাই মালিক। তবে যেহেতু আদালতে মামলা চলমান তাই দখলকারীদের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা ব্যতিরেকে আমরা আইনগত উদ্যোগ নিতে পারছি না।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-বিষয়টি ইতিমধ্যে জটিল আকার ধারন করেছে। তবুও আমরা স্থানীয় পর্যায়ে একটি বৈঠকের মাধ্যমে এর আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করবো। তবে কোন প্রকার বিশৃংখলা ও অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
সম্পাদকঃ জিয়াউদ্দিন এম এনায়েতুল্লাহ্ হিরো
কপিরাইট - নয়াবাংলা কতৃক স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত