মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশে শাহাদাত
খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

চট্টগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম : রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে আরো একটি ৫ জানুয়ারীর মত নির্বাচন করার ফ্যাসিষ্ট সরকারের দিবা স্বপ্ন সফল হবে না। বিএনপির সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধন জনগণ দেখবে সেটাও সরকার সহ্য করতে পারছে না। সভা সমাবেশের অধিকার মানুষের নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেড়ে নিতে চাইলে জনগণ তাদের রুখে দিবে। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ধীরে ধীরে কঠোর থেকে কঠোরতর করবো। বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। কারাগারে নেয়ার পর বেগম জিয়াকে নিয়ে বিশ্বব্যাপি আলোচনা হচ্ছে। তাকে কারাগারে নেয়ার পর তার জনপ্রিয়তা হাজার হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুক্ত খালেদা জিয়ার চাইতে রাজবন্দি খালেদা জিয়া অনেক বেশী শক্তিশালী। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কান্ডারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহীন সাজা প্রত্যাহার করাসহ বেগম জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি দাবী করছি।

বুধবার (৪ এপ্রিল) সকালে নগরীর ইসলামিয়া সিটি হলে তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন র্চ্চা ও গবেষেণা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে উপমহাদেশের গণতন্ত্রপন্থী মজলুম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। সমস্ত ব্যাংকগুলো লোপাট হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন
অব ব্যাংকাসের (বিএবি) সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরকে টাকা দেয়ার কথা বলে, কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, সর্বত্র দুর্নীতি চলছে। রাস্তার নির্মাণ ব্যয় তিন গুণ থেকে চার গুণ বেশী। পদ্মাসেতুর নির্মাণ ব্যয় ৮ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩০ হাজার কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে।

উন্নয়ন কোথায়, উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার দ্বারা হয় না। কিন্তু টাকার মাধ্যমে
ইয়াবা সম্রাট বদির চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে জেল কোড ভেংগে। আর বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের এলাউ করা হয় না। তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আজীবন আপোসহীন। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া সমার্ত্মক।

তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন র্চ্চা ও গবেষেণা কেন্দ্রের মহাসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলমগীর নূরের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম রিপন ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শেখ মুজিবের মুত্যুর পর আওয়ামীলীগের কেউ প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু এ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে আওয়ামীলীগকে খুজে পাওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন বলেন, জুলুম নির্যাতনের জন্য কোন সমাবেশ করা যাচ্ছে না। দেশে কোন সুশাসন নেই বলেই এ অবস্থা। এ অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য তারেক রহমান রাজনৈতিক গবেষণা কেন্দ্রকে জিয়াউর রহমানের ১৯ দফার আলোকে খাল খনন, শিক্ষা বিস্তার ও শিল্প সাহিত্য নিয়ে আরো বেশী গবেষণা করে সঠিক তথ্য জাতির সামনে উপস্থানের আহবান জানান।

নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির লক্ষে সকল ভেদাভেদ ভুলে রাজপথ দখল করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে আলমগীর নূর বলেন, প্রেসক্লাব চত্ত্বরে পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচির জন্য ৫ দিন আগে অনুমতির জন্য আবেদন করার পরও মানববন্ধন করতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে এ অবৈধ সরকার। যতই মামলা হামলা দেয়া হউক কেন আমরা বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে অবৈধ সরকারের সকল মামলা হামলা, গুম, খুন ও পুলিশী নির্যাতন মোকাবেলা করেই রাজপথের আন্দোলনকে বেগবান করবো, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, গুলির ভয় উপেক্ষা করে গত ৮ ফেব্র“য়ারী বেগম জিয়ার মামলার রায়ের দিন শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ আমাদেরকে গ্রেফতার করে অবৈধ সরকারের স্বৈরাচারী মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে। আমরা শত বুলেটকে আলিঙ্গন করে রাজপথে ছিলাম এবং আগামীতেও যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকবো। সাথে সাথে নেতাকর্মীদেরকে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে আমাদের সাথে রাজপথে থেকে এই স্বৈরচারিনী সরকারকে বিদায় করার ইম্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, সহপ্রচার সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক হাসেম সওদাগর, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর
আলম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সাহেদা বেগম, ২০ দলের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন,
মহানগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ, বক্সিরহাট বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজুল্লাহ, দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হাজী হারুন কাকল, গবেষণা কেন্দ্রের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুর রহমান শফিক, দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. ইকবাল, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সহসভাপতি সদ্যকারামুক্ত আবদুল হাকিম, হাফিজুল ইসলাম মিলন, নগর যুবদল নেতা আবদুল জলিল, আশাদুর রহমান টিপু, ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর
ছাত্রদল নেতা সদ্য কারামুক্ত মো. ইয়াছিন, সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহসম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নগর যুবদল নেতা মো. সালাহউদ্দিন, মো. ইসহাক, আলিফ উদ্দিন রুবেল, সফিউল আলম, সংগঠনের মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহবুব আলম, জুনাইদ রাসেল, তাতী দলের মহানগরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গির আলম, কবি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জসিম উদ্দিন হিমেল, মো. সোহেল, রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম, আরাফাত, ফয়সাল, জাহেদ, চট্টগ্রাম মহানগর কল্যাণ পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন