লাঠি মিছিল ও কালো পতাকায় সজীব হত্যার প্রতিবাদ
উত্তাল খাগড়াছড়িতে রবিবার থেকে ৭২ ঘন্টা হরতাল

লাঠি মিছিল ও কালো পতাকায় সজীব হত্যার প্রতিবাদ

খাগড়াছড়ি : দুর্বৃত্তদের ব্রাশ ফায়ারে নিহত মাইক্রোবাসের ড্রাইভার মোঃ সজীব হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি। হত্যার প্রতিবাদে শহরে কালো পতাকা ও লাঠি মিছিল করেছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ। ৬ মে থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় ৭২ ঘন্টা হরতাল এবং ৭ মে সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (৫ মে) সকালে কেন্দ্রিয় ঈদগাহ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শাপলা চত্তরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে এই হত্যাকান্ডের জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা সমর্থীতদের দায়ী করে, সজীবের হত্যাকারি ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে ফাঁশিতে ঝুলিয়ে বিচার করার দাবি জানানো হয়।

লাঠি মিছিল ও কালো পতাকায় সজীব হত্যার প্রতিবাদ

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের একাংশের সভাপতি মোঃ মাইন উদ্দিন, সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা প্রমুখ। এসময় বক্তারা আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসন খুনিদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে, খাগড়াছড়ি বসবাসরত সকলকে নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষনাও দেন বক্তারা।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের শাপ্লা চত্ত¡রে দুর্বৃত্তদের ব্রাশ ফায়ারে নিহত মাইক্রোবাসের ড্রাইভার মোঃ সজীব হত্যার প্রতিবাদ ও পরিবারকে তিপুরণের দাবিতে মানববন্দন করেছে, খাগড়াছড়ি রেন্ট-এ কার চালক সমবায় সমিতি। এসময় বক্তব্য রাখেন, রেন্ট-এ কার মালিক সমিতির প্রিয়তোষ দে, সুমন মহাজন এবং চালক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সদস্য বেলাল হোসেন আপন, মোঃ হোসেন ড্রাইভার, মাহাবুব আলম ও সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

লাঠি মিছিল ও কালো পতাকায় সজীব হত্যার প্রতিবাদ

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ মে) উপজেলা পরিষদের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত, রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য এডভোকেট শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়ায় যাওয়ার পথে। শুক্রবার (৪ মে) দুপুরে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের বেতছড়ি মেজর পাড়া এলাকায়, প্রতিপরে ব্রাশ ফায়ারে নিহত মাইক্রোবাসের ড্রাইভার মোঃ সজীব ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (বর্মা গ্রুপ) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচজন নিহত এবং ৮ জন গুরুতর আহত হয়।