অতিরিক্ত ভাড়া না দেয়ায় ৩ কলেজ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

আহত শিক্ষার্থী

অতিরিক্ত ভাড়া না দেয়ায় বাসস্ট্যান্ডের মাস্তানরা তিন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে বাস ষ্ট্যান্ডের কিছু দুবৃত্ত। বুধবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় রাজশাহীর বাঘায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের ছেলে আদিত্ব পারভেজ শাওনের দুই বন্ধু সাব্বির আহম্মেদ ও আলামিন হোসেন। তারা তিনজনই রাজশাহী কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বাঘায় দুটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। এর মধ্যে একটি জেলা শহর বাসস্ট্যান্ড ও অপরটি ঢাকা বাসস্ট্যান্ড। স্থানীয় কিছু মাস্তানরা দীর্ঘদিন থেকে স্ট্যান্ড দুটি দখলে রেখেছে। এই দুই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হয় বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

সর্বশেষ বুধবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে মাস্তানদের আক্রমণের শিকার হতে হয় ওই তিন শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, বাঘা উপজেলা সদরের স্থানীয় বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের ছেলে আদিত্ব পারভেজ শাওনের দুই বন্ধু সাব্বির আহম্মেদ ও আলামিন হোসেন বানেশ্বর থেকে সিএনজিতে বাঘায় আসে। এ সময় সিএনজিচালক নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।

একপর্যায়ে বাসস্ট্যান্ডের মাস্তান আজমল হোসেন, সুমন হোসেন, সুজন আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম, শাকিল হোসেন, সোহাগ হোসেন, ফিরোজ হোসেনসহ ৮-১০ জনের একটি দল খুর, লোহার রড়, ধারালো চাকু, বাঁশের লাঠি দিয়ে আদিত্ব পারভেজ শাওন ও তার দুই বন্ধু সাব্বির আহম্মেদ এবং আলামিন হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে আদিত্ব পারভেজ শাওনের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বাঘা থানার ওসি রেজাউল হাসান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন