আড়াই কোটি টাকার প্রকল্প
চট্টগ্রামে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন পরিচিতি লাভ করবে বদরশাহ পুকুর

বদর শাহ পুকুর পরিদর্শন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম : অযত্ন আর অবহেলায় পরে থাকা বদর শাহ পুকুরটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে ব্যয় হবে অন্তত আড়াই কোটি টাকা। এ বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণ করেছে চসিক। আগামী ১৫ জুলাই থেকে পুকুরটির সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী চার পাঁচ মাসের মধ্যে কাজশেষে এতদ্বাঞ্চলের ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যময় স্থান বদর শাহ পুকুরটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন পরিচিতি লাভ করবে।

শুক্রবার (২২ জুন) দুপুরে শাহসুফি হজরত আমানত খানের (র.) মাজার মোতোয়াল্লির বাসভবনে মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানানো হয়।

এসময় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, হজরত শাহসুফি আমানত খান (র.) মাজার মোতোয়াল্লি এফ কিউ খান, বেলায়েত উল্লাহ খান, শওকত আলী খান, আন্দরিকল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মহিউদ্দিন শাহ, জানে আলম, হাবিব উল্লাহ, এজাজ মিয়া, বাবলু মিয়া, বশর, সাদ্দাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ লক্ষ্যে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় বদর পুকুর সংস্কার, পুকুরের চারপাশে ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, গাছ-গাছালি রোপণ, ৪টি পুকুর ঘাট, পুকুরের মাঝখানে সুদৃশ্য ফোয়ারা নির্মাণ, চারদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, সোলার প্যানেল স্থাপন, বদর শাহ মাজারসংলগ্ন স্থানে টাইলস প্রতিস্থাপন, রাস্তা ও টয়লেট নির্মাণ, আলোকায়ন এবং সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অন্তর্ভ‍ুক্ত করা হয়েছে।

সিটি মেয়র বলেন, আমরা ছোটকাল থেকেই বদর শাহ পুকুরটি দেখে আসছি। বর্তমানে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা আর জনগণের অসচেতন ব্যবহারের কারণে পুকুরটির অবস্থা একেবারে শোচনীয়। অথচ এ অঞ্চলে এ পুকুরটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। পুকুরটিকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে সম্পূর্ণ নতুন রূপ দেওয়া হবে।

ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যময় স্থান হিসেবে এটি নগরের একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন পরিচিতি লাভ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।

শেয়ার করুন