
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদ পানছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে না পারলেও লেপের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর মুহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে পানছড়ি দেবালয় মন্দির ও শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের সেবাশ্রমসহ একটি আইসক্রীম ফ্যাক্টরি, লেপের দোকান ও ৩/৪টি বসত ঘরসহ অন্তত ২০-২৫টি দোকান মুহুর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪০ মিনিট চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পানছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজির মাহমুদ জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী-বিজিবি ও বাজারের ব্যবসায়ীরা ৪০ মিনিট চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এসময় ফায়ার সার্ভিস খাগড়াছড়ি থেকে ঘটনাস্থলে আসতে দেরি হওয়ায় স্থানীয় জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে বলেও জানান তিনি।

খবর পেয়ে রোববার সকালে উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়ান। এলাকাবাসীসহ সকলকে ডেকে নিয়ে শান্তনা দেন এবং পুড়ে যাওয়া পানছড়ি বাজার পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবার ও ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ আর্থিক অনুদান তুলে দেন।
এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও ব্যাবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা না গেলেও প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।