নরসিংদীতে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০

নরসিংদী

নরসিংদী প্রতিনিধি : রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তোফায়েল হোসেন (১৮) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুপুরে সোহরাব হোসেন নামে আরো এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত তোফায়েল বাঁশগাড়ী বালুয়াকান্দি এলাকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছেলে। সে এবছর বাঁশগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে ফরম পূরণ করেছে।

এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ১০ ব্যক্তি। এরমধ্যে সুমন মিয়া (২৬), মামুন মিয়া (২৫) ও সুমন মিয়াকে (২৬) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহেদ সরকারের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের জের ধরে গত মার্চে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান শাহেদ সরকার। এর ৪০ দিন পর গত ৩ মে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক। ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হত্যার পর থেকে প্রতিপক্ষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় শাহেদ সরকার সমর্থকরা। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার সকালে শাহেদ সরকার সমর্থকরা এলাকায় ফিরলে প্রতিপক্ষ সিরাজুল হকের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

এসময় উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এরমধ্যে ৪ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তোফায়েল হোসেন নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু ঘোষনা করেন।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরাঞ্চলের নিলক্ষা এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

শেয়ার করুন