চাঁদে মার্কিন গোপন ঘাঁটি!

চাঁদে হয়তো অদ্ভুত কিছু ঘটে চলেছে,অনেকেরই ভাবনা। কিন্তু কি চলছে আমাদের তা জানা নেই। এই ভাবনা আরও জোর পাবে উইকিলিকসের ‘রিপোর্ট দ্যাট ইউআর ডেস্ট্রয়েড সিক্রেট মুন বেইস’শিরোনামে ফাঁস করা কিছু সরকারি নথি দেখে ।
উইকিলিকস উল্লেখ করেছে ,নথিটি ইলেকট্রনিক নয়, তাই পুরো লেখা পাওয়া যায়নি ।

কালেক্টিভ ইভল্যুশান এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাকাশ যুদ্ধের বাস্তবতার বিষয়টি পরিস্কার শিরোনামেই। একই সাথে নথিটি ‘চাঁদে গোপন ঘাঁটি’র সম্ভাব্যতাও তুলে ধরে। ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের এবং ইউআর (সোভিযেত ইউনিয়ন) ধ্বংস করার আগ পর্যন্ত এটি সক্রিয় ছিল।

উইকিলিকসের আরও কিছু নথি থেকে এ বিষয়ে পরিস্কার যে, চাঁদে ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলেছে। মার্কিন সরকারের প্রকাশনা দপ্তরের একটি নথিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, চাঁদে ঘাঁটি নির্মাণ করা মার্কিন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ।

১৯৬৬ সাল থেকে এ ধরনের কাজ শুরু হয় বলে সংবাদমাধ্যম কালেক্টিভ ইভল্যুশান জানিয়েছে।

নথিটির একটি অংশে জর্জ পি মিলার লিখেছেন – ‘আমি এও বিশ্বাস করি যে, প্রেসিডেন্ট কেনেডি ও জনসন ১৯৭০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তা আমরা অর্জন করতে পারবো। আমাদের এগিয়ে চলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর আমার নিজের আত্মবিশ্বাস এমন যে, আমি সামনে আরও নাটকীয় অর্জন দেখতে পাই। যদিও আমি এগুলোর জন্য সময়সীমা দেব না : ১. চাঁদের পৃষ্ঠে অনুসন্ধান চালানো এবং ২. সেখানে এক বা একাধিক সম্ভাব্য স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করা।’

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার সংস্থা সিআইএর একটি নথিতে দেখা যায়, মহাকাশকে অস্ত্রসমৃদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ‘সামরিক ভাবনা (অতি গোপনীয়)’ শিরোনামে নথিটি আসলে একটি স্মারক চিঠি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কোরোনেভস্কি সেটি সিআইএ পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

এ ছাড়া উইকিলিসের ফাঁস করা আরেকটি ইমেইলের কথা বলা যায় এ প্রসঙ্গে। রাজনীতিবিদ জন পোডেস্তার কাছে অ্যাপোলো ১৪ এর নভোচারী ড. এডগার মিশেল ও ড. ক্যারোল রসিন লিখেছেন-‘প্রিয়জন, মহাকাশে যেহেতু দৌড়ের যুদ্ধ জমে উঠেছে, আমার ধারনা তোমার কিছূ বিষয় জানা দরকার, এজন্যই তুমি ও আমি স্কাইপেতে আলোচনার সময় ঠিক করেছি। মনে রেখ, আমাদের পার্শ্ববর্তী মহাবিশ্বের অহিংস ইটিআই (ভিন গ্রহের বুদ্ধিসম্পন্ন সত্ত্বা) পৃথিবীতে জিরো পয়েন্ট এনার্জি আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। তারা পৃথিবী ও মহাকাশে কোনো ধরনের সামরিক সহিংসতা সহ্য করবে না।’