চট্টগ্রামেও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, দুর্নীতি-অনিয়ম চলতে দেয়া হবেনা : মেয়র

প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম : দুর্নীতি-সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ শুদ্ধি অভিযানের ধারাবাহিকতা চট্টগ্রামেও কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি, অনিয়ম চলতে দেয়া হবেনা।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন মেয়র।

আরো পড়ুন : সীতাকুণ্ডে বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ গেল দুই শিপইয়ার্ড শ্রমিকের
আরো পড়ুন : শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা মেনে নিয়ে বুয়েটে নোটিশ

নগর পিতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতি, জুয়া এবং ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামেও যুদ্ধ ঘোষণা করছি। প্রধানমন্ত্রী যে নিজের ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এটি দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা।

মেয়র বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছেন। আবরার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কোন রাজনৈতিক শক্তি যাতে দেশের গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য নাগরিকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও যুবলীগ সভাপতির ক্ষেত্রেও কঠোর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার (যুবলীগ সভাপতির) বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসেব তলব করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে শিক্ষণীয়।

চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধান সমন্বয়কারী সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও প্রাবন্ধিক লেখক শেখ মুজিব আহমেদ।

বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদরিস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সফর আলী, চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ইকবাল, মোহাম্মদ ঈসা, চসিক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসা প্রমুখ।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে কোনও ক্যাম্পাস হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে এত দ্রুত আসামি গ্রেফতার ও প্রশাসনকে এত দৃঢ় অবস্থানে লক্ষ্য করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদক জঙ্গিবাদ ও কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সকে চট্টগ্রামবাসী ধন্যবাদ জানিয়েছে।

উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ সাহা, কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আহসান উল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদ সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেব নাথ সহ আরও অনেকে।

শেয়ার করুন