বন বিভাগের বিশেষ অভিযান : চোরাই কাঠভর্তি গাড়ি জব্দ

বন বিভাগের বিশেষ অভিযান : চোরাই কাঠভর্তি গাড়ি জব্দ

কক্সবাজার : উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন বনাঞ্চলে কাঠ চুরি ও পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া ফাসিয়াখালী রাস্তার মাথা নামক স্থানে বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে অবৈধ জ্বালানী কাঠ ভর্তি একটি টিএস গাড়ি জব্দ করেছে।

এর আগে আটক করা হয় বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠভর্তি একটি মিনি ট্রাক। বনবিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকায় চোরাই কাঠ পাচার অনেকটা হ্রাস পাচ্ছে বলে দাবি বনবিভাগের।

আরো পড়ুন : একই ছাতার নীচে আসছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও
আরো পড়ুন : সৃ‌জিত-‌মি‌থিলার শুভ পরিণয়

জানা গেছে, উত্তর বনবিভাগের বনাঞ্চল থেকে বৃক্ষ নিধন করে ওইদিন বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ ট্রাকযোগে পাচার করছিল সংঘবদ্ধ চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের নির্দেশে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হকের নেতৃত্বে স্পেশাল টিম অভিযান চালায়।

এসময় পাচারকালে চকরিয়া ফাসিয়াখালী রাস্তার মাথা নামক স্থান থেকে অবৈধ জ্বালানী কাঠ ভর্তি একটি টিএস গাড়ি করে। আটক জ্বালানী কাঠের পরিমাণ আনুমানিক ৩০০ ঘনফুট। এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে ২ ডিসেম্বর বিকালে সংঘবদ্ধ কাঠ চোরাকারবারি দল কর্তৃক পাচারকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া মৌলভীর কুম নামক স্থানে অভিযানে আটক করা হয় চোরাই কাঠ ভর্তি একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার)। যার আনুমানিক মুল্য কয়েক লাখ টাকা। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাও হয়েছে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্বদানকারি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হক।

কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হক জানান, সংঘবদ্ধ একটি কাঠ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট বন বিভাগের লোকজনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে বননিধন ও চোরাই পথে কাঠ পাচার অব্যাহত রাখার চেস্টা করছে। কিন্তু যখনই খবর পাওয়া যাচ্ছে তখনই চালানো হচ্ছে অভিযান। এতে করে দিনদিন চোরাই পথে কাঠ পাচার হ্রাস পাচ্ছে। এ সংক্রান্তে বেশ কয়েকটি সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, বনজ দ্রব্য ধবংসকারি ও চোরাচালানী চক্রের বিরুদ্ধে বনবিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাছ চোরাচালানে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চোরাই পথে গাছ পাচারের চেস্টা করা হলে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করা হচ্ছে। বন নিধনকারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।