পার্বত্যমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ নিয়ে এবার ঘরে ঘরে আ’লীগ কর্মীরা

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ নিয়ে ঘরে ঘরে যাবে আ’লীগ কর্মীরা

নাইক্ষ্যংছড়ি : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে যেখানে মৃত্যুপুরীতে রুপান্তরিত হয়েছে সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

খবর পেলেই ত্রাণ নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়া পরিবারের বাড়ি বাড়ি ছুটে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ যারা খাদ্য সংকটে পড়েছেন তাদের ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ। এছাড়াও মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দূর্যোগে মানবিক প্রয়াস নাইক্ষ্যংছড়ি’ প্রমূখ।

আরো পড়ুন : লকডাউন মানছে না, পাড়ায় পাড়ায় ‘ঈদের’ আমেজ
আরো পড়ুন : মানব দেহে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা জুনে

রবিবার (৫ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক নেতাদের বান্দরবান জেলায় আসার সংবাদ পৌঁছান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর।

সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের যে সকল পরিবার খাদ্য সংকটে পড়েছেন তাদের তালিকা করে হাউজ টু হাউজে গিয়ে এই খাদ্যসামগ্রী পোঁছে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর। মন্ত্রীর এমন নির্দেশনা পেয়ে খাদ্যসামগ্রীবাহী গাড়ী নিয়ে পৌঁছেন নাইক্ষ্যংছড়িতে।

পাঁচ ইউনিয়নে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মিলে ১ হাজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, সাবান ইত্যাদি রয়েছে।

আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফি উল্লাহ বলেন, বান্দরবানের ৭ উপজেলায় ১০ হাজার মানুষের জন্য পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তার মধ্যে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের জন্য ১হাজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রী পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, খাদ্য সংকট পরিবারকে নিরলসভাবে তার দেয়া নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যসামগ্রী গুলো পৌছেঁ দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন বীর বাহাদুর। নেতা-কর্মীদের একযোগে মানব সেবায় কাজ করার জন্য মাঠে থাকতে বলেছেন তিনি। প্রতিটি পরিবারের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নিয়ে তাঁর কাছে সংবাদ পৌঁছে দিতে বলেছেন। খাদ্য সংকটে পড়া মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুুত রয়েছি। তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম শেষ করছি আমরা। কাল থেকে পর্যাক্রমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী বলেন, উপজেলাতে এমনও কিছু পরিবার রয়েছে যারা কখনোই সরকারি কোন সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী ছিল না। তারা করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পরেছে তারা চক্ষু লজ্জায় না পারছে চেয়ারম্যানদের কাছে যেতে না পারছে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কিছু সাহায্য চাইতে। তারা যদি তাদেরকে ফটোফ্রেম বন্ধী না দেখিয়ে সাহায্য চায় তাহলে তাদের তথ্য গোপন রেখে বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিলে ভাল হবে মনে করছেন প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, এ কার্যক্রমে প্রেসক্লাব কর্মরত সাংবাদিকরা এক সাথে মাঠ পর্যায়ে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।