করোনা রোগীর লেনদেন : নাইক্ষ্যংছড়ির সোনালী ব্যাংক লকডাউন

নাইক্ষ্যংছড়ির সোনালী ব্যাংক লকডাউন

বান্দরবান : করোনা শনাক্ত হওয়া এক নারী নাইক্ষ্যংছড়ি সোনালী ব্যাংক শাখায় লেনদেন করায় ব্যাংকের ওই শাখার কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে লকডাউন করে দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হোক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) ওই নারীর করোনা শনাক্ত করা হয়। পরে বুধবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ লকডাউনসহ সকল কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশনা দেয় উপজেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন : করোনা প্রভাব : রমজানে মিলছে না মেজবানীর মাংস
আরো পড়ুন : চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, ওই কোভিড-১৯ পজেটিভ সনাক্ত মহিলাটি লেনদেন করতে গত সোমবার ২৬ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক নাইক্ষ্যংছড়ি শাখায় গিয়েছিলেন। আমরা খবর পেয়ে সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় সকল কার্যক্রম স্থগিতসহ লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে ওখান থেকে আর কেউ আক্রান্ত না হয় এবং ওই শাখার কর্মকর্তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি। যেহেতু লেনদেনে সংস্পর্শ হওয়ার সন্দেহে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানান।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, গত রবিবার ২৬ এপ্রিল সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসে আক্রান্ত মহিলাটি। তার জ্বর ও সর্দি কাশির কথা জেনে চিকিৎসক বর্তমান করোনা পরিস্থিতির উপসর্গ হিসেবে কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। ওই নমুনার রিপোর্ট আসে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায়।

ওই রিপোর্টে দেখা যায় কোভিড-১৯ পজেটিভ। ওইদিন রাতে রোগীকে নিজ এলাকায় হোম কোয়ারেন্টেইনে রাখা হলেও পরদিন উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল আইসোলেশনের ইউনিটে ভর্তিতে রাখা হয়।

৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গগত : গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই আক্রান্ত মহিলার নমুনার পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর তার নিজ গ্রামের বাড়ীর আশেপাশের যাতায়তেরর সংস্পর্শ ব্যক্তিসহ গ্রামের ১৭টি পরিবারের ঘর-বাড়ী লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১১৫ জনের নমুনা সংগ্রহের মধ্যে দুই জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও বাকী নমুনায় সব নেগেটিভ ছিল।