চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে শেখ হাসিনা

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

খাগড়াছড়ি : পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর কেক কেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

আরো পড়ুন : চট্টগ্রামের কেন্ডি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা
আরো পড়ুন : জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যাবে অনলাইনে

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি “জেএসএস” এর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত করার ফলে পাহাড়ে দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালির মাঝে যে ভুল বুঝাবুঝি গুছিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চুক্তির বেশিরভাগ ধারা বাস্তবায়ীত হয়েছে। অবশিষ্ট ধারাগুলোও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিচুক্তির আলোকে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পর্যটনসহ সকল খাতে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি দেশে ও বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছে। তায় সকলকে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ ভাবে সহাবস্থান নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান, এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এতে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর সালাহ উদ্দীনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চুক্তির ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষে জেলার ৯টি উপজেলায় ৯ জন গৃহহীনকে গৃহ উপহার এবং বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসুচির উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এছাড়াও সন্ধ্যায় আলোকসজ্জার পাশাপাশি সরকারি প্রতিটি দপ্তর থেকে ২৩ টি করে ফানুস বাতি উত্তোলন করা হবে।