করোনায় আক্রান্ত চট্টগ্রামের বাসিন্দা পিতা-পুত্রের মৃত্যু নিউইয়র্কে

প্রকৌশলী খাইরুজ্জামান ও তার ছেলে আবুল বাশার পান্না

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) অতিক্রম করছে দ্বিতীয় ধাপ। করোনা আক্রান্তের মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে নিউইয়র্কে মারা গেছেন পিতা পুত্র। নিহতরা চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার এ-ব্লক ৮ নম্বর লেনের স্থায়ী বাসিন্দা প্রকৌশলী খাইরুজ্জামান ও তার ছেলে আবুল বাশার পান্না।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নিউইয়র্ক শহরে পিতা পুত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক শুভাশিষ বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাবা ছেলে দু’জনই পরিবারের সাথে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের মৃত্যুর খবরে সেখানকার কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরো পড়ুন : জটিল রোগের গায়েবি চিকিৎসক তিনি !
আরো পড়ুন : মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদন করাই রাজনীতির মূল মন্ত্র : নাছির

নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে আবারো করোনাভাইরাসের বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাবা-ছেলেসহ গত এক মাসে নিউইয়র্কে সাতজন বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

অপর পাঁচজন হলেন- আবাসন ব্যবসায়ী গোলাম রহমান সেলিম (৪৬), চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ (৭৩), এলমহার্স্টের বাসিন্দা শেফালি বেগম (৫৫)। চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আবদুল হাই জিয়া (৫৫), লং আইল্যান্ড হসপিটালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৌফিকুল ইসলাম (৬২) (প্যাথলজিষ্ট)।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং তিন লাখ ১৩ হাজার ২৪৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

শেয়ার করুন