
চট্টগ্রাম : উন্নত চট্টগ্রামের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নৌকা প্রতীক বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বার্থে, বন্দরের স্বার্থে এ অঞ্চলের মানুষের অপরিসীম ত্যাগ রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি নিধনের জন্য আনা সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানী অস্ত্র খালাস ঠেকিয়ে দিতে এ অঞ্চলের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা সোনালী ইতিহাস।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর মুনির নগর, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে গণ সংযোগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন : পৌরসভায় বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পরিষদ বাতিল
আরো পড়ুন : মিরসরাইয়ে মৎস্য প্রকল্প দখলে নিতে অস্ত্রের মহড়া
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী জাহাঙ্গীর আলম ও গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাত আরা বেগম ও আফরোজা কালাম, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, এ অঞ্চলে সভ্যতার ক্রমবিকাশে এ বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করে রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বন্দরকে একটি বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার উন্নত চট্টগ্রাম গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় মূল্যবান রায় প্রত্যাশা করছি। তার আগে তিনি টিএসপি কলোনী ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত পতেঙ্গা হালিশহর অঞ্চল শ্রমিক লীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানামূখী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য, শ্রমজীবি মানুষের কল্যানের জন্য বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের সংগঠিত করে জাতীয় শ্রমিক লীগ গঠন করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে অন্তভুক্ত করেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামেও রয়েছে শ্রমিক লীগের গৌরবোজ্জল ভূমিকা। গৌরবের ধারা বজায় রেখে শ্রমিক লীগের নতুন নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত রাষ্ট্র গড়ার সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাসী।
চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন এবং রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গণমানুষের কল্যানে কাজ করাই আমার রাজনৈতিক অংগীকার। মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমি ক্ষুদ্র ব্যবসাযীদের কল্যানে বিশেষ প্রকল্প চালু করতে উদ্যোগ নেব। ফুটপাতে যারা ব্যবসা করে জীবিকা চালায় তাদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট একটি নীতিমালা সকলের সমম্বয়ে প্রনয়ন করবে সিটি কর্পোরেশন। যাতে হকাররা ব্যাবসা কার্য চালাতে পারে এবং জনসাধারনের চলাচলেও বিঘ্ন না ঘটে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের বন পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম, মোতালেব চৌধুরী, প্রবীর দাশ তপু, শওকত হোসেন, নুরুল আকবর, নুরুল করিম, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নিলু নাগ, শওকত হোসেন মুন্না, নাছির উদ্দিন, রফিকুল মন্নান জুয়েল, সজীব তালুকদার, নুরুল আলম লেদু, মো. কামাল হোসেন, খন্দকার মো. দেলোয়ার, আলমগীর, জহির উদ্দিন প্রমুখ।