চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শামীমা ওয়াহেদ চৌধুরীর

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শামীমা ওয়াহেদ চৌধুরীর

 আমার স্বামীর মরহুম ওয়াহেদ আজগর চৌধুরীর ১ম সংসারের সন্তান আহমেদ ফয়সাল চৌধুরীর আমাকে তাহার পিতার স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় স্বীকার করে আদালতে সোলেনামা দিয়ে আজ আমাকে গৃহহীন করার উদ্দেশ্য মিথ্যাচার করছেন। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে মরহুম ওয়াহেদ আজগর চৌধুরী দ্বিতীয় স্ত্রী ও আহমেদ ফয়সালের সৎ মা শামীমা ওয়াহেদ চৌধুরী।

তিনি অভিযোগ করেন, শামীমা ওয়াহেদ এর মাতা রিজিয়া বেগমের মালিকানাধীন রিজিয়া ম্যানশনে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আহমেদ ফয়সাল একটি বিদেশী শেফার্ড কুকুর নিয়ে উক্ত রিজিয়া ম্যানশনের ভবনের ভেতর অবস্থান করছেন। উক্ত বিষয় পাঁচলাইশ থানায় অবগত করলেও উক্ত থানার ওসি, মোঃ নাজিম উদ্দিন মজুমদার ,এস আই মোঃ জাকির আমাকে সহযোগিতা না করে এবং কোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশকে অমান্য করে বেআইনিভাবে আহমেদ ফয়সাল চৌধুরীকে রিজিয়া ম্যানশন ভবনের ভিতর অবস্থান করার জন্য সহযোগিতা করেন। বেআইনি কাজে প্রশ্রয় দিয়ে আমার কাছে ৫০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

আমার ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য বিগত ১৭ ই আগষ্ট আহমেদ ফয়সালসহ পাঁচলাইশ থানার ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিন মজুমদার এবং এস আই মোঃ জাকির এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে সি আর মামলা-৬১১/২০২৩ নং দায়ের করি । মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -২ শুনানী শেষে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য আদেশ প্রদান করেন। আহমেদ ফয়সাল উক্ত মামলা সম্পর্কে অবগত হয়ে তার অন্যায় আচরণকে ধামা-চাপা দিতে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী মরহুম ওয়াহেদ আজগর চৌধুরীসহ আরো ০৩ (তিন) জন মিলে মেসার্স নুপূর এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামীয় একটি কোম্পানি গঠন করেন। যা নুপুর মার্কেট নামে পরিচিত। পরবর্তীতে ওয়াহেদ আজগর চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে তার ১ম সংসারের সন্তানগণ আহমদ ফয়সাল চৌধুরী, আহমদ রাসেল চৌধুরী ও ফারজিন চৌধুরী দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নুপুর মার্কেটের ভাড়ার লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। আমি দ্বিতীয়া স্ত্রী শামীমা ওয়াহেদ চৌধুরী এবং এক কন্যা সামিনা চৌধুরী ও এক পুত্র নাবালক আহমদ ফারহান চৌধুরী এবং মরহুমের প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা সকল স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির একমাত্র ওয়ারিশ থাকি।

মূলতঃ আহমেদ ফয়সাল সৎ ভাইবোনের সম্পত্তি বেআইনিভাবে গ্রাস করার জন্য মরহুম ওয়াহেদ আজগর চৌধুরীর দ্বিতীয়া স্ত্রী- সন্তানদের ওয়ারিশ নয় মর্মে বিভিন্ন অপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী সম্পত্তি আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে বিগত ১৯শে মার্চ ৩১ নং আলকরণ কাউন্সিলর অফিস থেকে প্রতারণামূলকভাবে ওয়ারিশান সনদপত্র তৈরী করেন এবং বিগত ১০ ই জুলাই একই কাউন্সিলর উক্ত ১৯ মার্চ ওয়ারিশান সনদ মিথ্যা ও ভুল উল্লেখ করে একটি ঘোষণামূলক প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শামীমা ওয়াহেদ চৌধুরী কন্যা সামিনা চৌধুরী ও ছেলে আহমদ ফারহান চৌধুরী,ভগ্নীপতি রাশেদ।

শেয়ার করুন