চট্টগ্রামে প্রবাসীকে মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে এক প্রবাসী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাইফুর রাহমান, বেলাল উদ্দিন, শফকত হোসাইন চাটগ্রামীসহ ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দস্যুদা আইনে মামলা দায়ের করেন আজিম উদ্দিন নামে এক প্রবাসী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, অভিযুক্ত সাইফুল রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী আজিব উদ্দিনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসতেছে।প্রবাসী আজিম উদ্দিন যখন দেশে আসলে ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চট্টগ্রামের লালদিঘি পুরাতন গির্জা এলাকায় হোটেল থেকে নাস্তা করে বের হওয়ার সময় সাইফুর রাহমান বেলাল উদ্দিন, শফকত হোসাইন চাটগ্রামীসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রবাসী আজিম উদ্দিনকে টেনে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার কাছ থেকে মানিব্যাকে থাকা ইউনাইটেড আরব আমিরাতের আট হাজার দেরহাম, একটি এমারত আইডি কার্ড, আকামা , iphone 15 pro max, মানিব্যাগে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্ট ছিনিয়ে নিয়ে যায়, এসময় তাকে প্রচুর মারধর করে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তার ভগ্নিপতিকে খবর দিলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মামলার বাদী প্রবাসী আজিম উদ্দিন জানান, বিদেশেও আমার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে অভিযুক্তদের সাথে আমার পূর্বের পরিচিতি ছিল। বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদা না দিলে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও পেপার পত্রিকায় আওয়ামী লীগের দোসরা এবং অতর্কিতভাবে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করতেছে কয়েকবার সর্বশেষ ৮ জানুয়ারি রাত ৭ টায় আমাকে অপহরণ করে ৮ হাজার দেরহাম এবং আমার এমারত আইডি, একটা iphone এবং মানিব্যাগে বাংলা ১০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঐ ঘটনায় আমাকে প্রচুর মারধর করা হলে আমার ভগ্নিপতি আমাকে( চমক) হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমি সুস্থ হয়ে আসলে কোতোয়ালি থানায় একটা মামলার এজাহার নিয়ে গেলে থানার কর্মরত অফিসার আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। ঘটনা সত্যতা যাচাই করতে ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ কোতোয়ালে থানা এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে রয়েছে।
এই মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিপন বলেন, আজিম উদ্দিন নামে একটা প্রবাসী মারধর ও অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১০/১২ জ্ঞাত ব্যক্তির নামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিযে চট্টগ্রাম মহানগর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। ইতি পূর্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল আরো তিনটি মামলা দায়ের করেছে।