কক্সবাজার : মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। কক্সবাজারের মহেশখালী ও টেকনাফে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মহেশখালীর শাপলাপুর ও বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ঘাটে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনাগুলো ঘটে।
আরো পড়ুন : বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদের তালিকায় শেখ হাসিনা
পৃথক ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তলসহ পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩১ রাউন্ড গুলি ও ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
নিহতদের মধ্যে একজন মাদকবিক্রেতা পরিচয় জানা গেছে- মহেশখালীর মাতারবাড়ির মিয়াজীপাড়ার জাকির হোসাইনের ছেলে হেলাল (৩০)। বাকি দু’জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ি হংস মিয়াজীপাড়া এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৪ মামলার আসামি হেলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে শাপলাপুর ঢালায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হেলালের মরদেহ, দুইটি দেশিয় তৈরি অস্ত্র, ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল টুটুল বড়ুয়া, মো. ফরহাদ, মো. নাসির ও মো. শাহজাদা আহত হয়েছেন।
এদিকে র্যাব টেকনাফ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেনেন্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকবিক্রেতারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদকবিক্রেতারা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মরদেহ, ৫০ হাজার ইয়াবা, দু’টি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও ১৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়ে। তবে নিহত দু’ মাদকবিক্রেতার এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে দু’জনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে হবে।
কমান্ডার লেফটেনেন্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব আরো জানান, মরদেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। টেকনাফ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।