ওরা খুশিতে আত্মহারা প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে

গৃহহীন মানুষের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নতুন ঘরের চাবি তুলে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন।

চট্টগ্রাম (হাটহাজারী) : উপজেলার সোনাই ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় চার গৃহহীন দরিদ্রের হাতে তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘরের চাবি। এসময় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা ও ক্রীড়া সামগ্রীও বিতরণ করা হয়।

শনিবার (২১ নভেম্বর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার সামগ্রী উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের সোনাই ত্রিপুরা পাড়ায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হাটহাজারী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসানুল হক।

আরো পড়ুন : মাস্ক না পরায় চট্টগ্রামে ৫০জনকে জরিমানা
আরো পড়ুন : ছেলের অপারেশনের টাকাও কেড়ে নিল সর্বনাশা আগুন

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ মিয়া তালুকদার, প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবর, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইমরান প্রমূখ।

১লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারটি নতুন ঘর পেলেন প্রেম কুমার ত্রিপুরা, জৈগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা, নয়ন বিকাশ ত্রিপুরা ও যতন কুমার ত্রিপুরা।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পেয়ে প্রেম কুমার ত্রিপুরা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, পাহাড় ঘেঁষা জরাজীর্ণ ঘরে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এতদিন জীবন যাপন করছিলাম। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে রাতে স্ত্রীকে নিয়ে পাহাড়ায় থাকতাম_কখন পাহাড় ধসে পড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত। ইউএনও স্যারের কারণে আমরা ঘর পেয়েছি। বাচ্চারা লেখাপড়ার স্কুল পেয়েছে। প্রার্থনার জন্য মন্দিরসহ যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এখন আর অবহেলিত নই। স্যারের জন্য ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক দোয়া করছি।

ওরা খুশিতে আত্মহারা প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার প্রাপ্যদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়াই আমার কাজ। ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হওয়ায় আমি খুশি। এক সময় অবহেলিত থাকলেও এখন তারা সব কিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। পড়া লেখার মান উন্নয়ন হচ্ছে। নির্বিঘ্নে তারা গাড়ি দিয়ে ঘরে যেতে পারছে। সরকার তাদের জন্য সব কিছু করছে। যাতে কেউ অবহেলিত না থাকে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই মোনাই ত্রিপুরা পাড়ায়ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৬টি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছিল।