ছাত্রলীগ বন্ধুর ছুরির আঘাতে বন্ধু খুন চট্টগ্রামে

নিহত আশরাফ উদ্দীন চৌধুরী

চট্টগ্রাম : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বন্ধুর ছুরির আঘাতে খুন হয়েছেন আরেক বন্ধু। নিহত আশরাফ উদ্দীন চৌধুরী(১৮) নোয়াখালীর সুবর্ণচর থানার চরফ্যাশন গ্রামে হলেও তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার নানা বাড়িও আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের বাদমতল এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আর মায়ের নাম অংকুর। আশরাফ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য।

নিহত আশরাফ পূর্ব বাকলিয়ার দিলোয়ারা জাহান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আনোয়ারা ফুটবল একাডেমির গোলকিপার হিসেবেও খেলতেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আনোয়ারা উপজেলা সদরের মা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুন : শক্তিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ইন্তেকাল
আরো পড়ুন : উদ্বোধনের অপেক্ষায় চট্টগ্রামের প্রথম বাইপাস সড়ক

খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন নয়ন সরকারও ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি আনোয়ারার সিংহরা গ্রামের বাসিন্দা এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ছাত্র বিষয়ক উপ সম্পাদক। তিনি আশরাফের বন্ধু ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রলীগের স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আনোয়ারা উপজেলা সদরের মা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কৌশলে ডেকে আনা হয় আশরাফকে। এ সময় সন্দেহভাজন নয়ন সরকার ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন আশরাফকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানোর পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ‘আশরাফ বন্ধুদের নিয়ে মা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় নয়ন সরকার, মহিউদ্দিন মানিক, মোহাম্মদ রাকিব, অংকন ও নিশান বড়ুয়ারা এসে আশরাফকে মারধর করে। এরপর নয়ন সরকার ছুরি বের করে বাম পায়ে আঘাত করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত আশরাফকে উদ্ধার প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম দিদারুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক কর্মী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।