মিল্কভিটা দুধের দাম বাড়ানোতে ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্বেগ

চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) প্যাকেটজাত দুধের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোতে উদ্বেগ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতারা।

রোববার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, মিল্কভিটা দাম বাড়ানোর কারণে অন্যান্য প্যাকেটজাত দুধেরও দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতি দেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান।

ক্যাব নেতারা বলেন, মিল্কভিটা ২০০৯ সাল থেকে তাদের উৎপাদিত দুধের দাম এই নিয়ে আটবার বাড়িয়েছে। দাম বাড়ানোর বেলায়ও ক্ষুদ্র গ্রাহকদের প্রতি সুবিচার করেনি কর্তৃপক্ষ। দুধের প্যাকেট ছোট হলে লিটারপ্রতি ভোক্তাদেরও বেশি হারে দাম গুনতে হবে। এক লিটারের প্যাকেট ৭৫ টাকায় বিক্রি হলে আধা লিটারের জন্য দাম গুনতে হচ্ছে ৪০ টাকা। আবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিল্ক ভিটার দুধের প্রাপ্যতাও সন্তোষজনক নয়।

মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষের উপর্যুপরি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এই দাম বৃদ্ধির সুফল খামারি পর্যায়ে যাবে না। মিল্পভিটা তাদের খামারিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ফলে বছরের মাঝপথে দুধের দাম বাড়ালেও খামারিরা তার সুফল পাবে না। খামারি পর্যায়ে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ প্রতি লিটার দুধ কিনছে ৫২-৫৫ টাকায়। সেখানে ভোক্তা পর্যায়ে ৭৫ টাকায় উন্নীত করার যুক্তসংগত কারণ নেই।

ক্যাব নেতারা আশঙ্কা জানিয়ে বলেন, বেসরকারি খাতের ডেইরি কোম্পানিগুলোর দুধের দাম বাড়ানোর জন্য মিল্কভিটাকে দিয়ে দুধের দাম বাড়াতে তাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ করোনা মহামারিতে শারীরিক শক্তি বাড়াতে চিকিৎসকরা দুধ পানের পরামর্শ দেওয়া এবং রমজানে দুধের ব্যবহার বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে। এই বাড়তি চাহিদায় জনগণের পকেট কাটার উৎসবে শামিল হতে মিল্কভিটা বেসরকারি খাতের ডেইরি কোম্পানিগুলোকে পথ মসৃণ করে দিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের মানোন্নয়নে সচেষ্ট না থেকে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছে। মিল্কভিটার দুর্নীতি ও অপচয় কমানো গেলে ভোক্তাদের ওপর বাড়তি দামের বোঝা কমানো সম্ভব ছিল।

অবিলম্বে মিল্কভিটার দুধের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করে যুক্তিসংগত পর্যায়ে আনার দাবি জানান ক্যাব নেতারা।

শেয়ার করুন