ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেয়র রফিকুল আলম ধরাছোয়ার বাইরে

ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের খুনীদের গ্রেফতার দাবী

ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

খাগড়াছড়ি : প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের খুনীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সকালে জেলা সদরের কদমতলীস্থ জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহ-সভাপতি মোঃ আমির হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে রাসেল হত্যাকাণ্ডের জন্য খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদক বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমকে দায়ী করা হয়। তাদের নির্দেশেই ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাসেলকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামী হওয়ার পরও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে মেয়র রফিকুল আলম বিভিন্ন সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করা থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন বক্তারা।

নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, রাসেল এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পক্ষে সমর্থন করায় মেয়রের সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় ঘরে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিত। আমার ছেলেকে মেয়রের নির্দেশে তার লালিত সন্ত্রাসীরাই খুন করেছে। মামলা করার পর এখন আমার অন্য ছেলেদেরও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আর কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয় সে জন্য মেয়র ও তার লালিত সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চায় বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম, বৃদ্ধ কর্মক্ষম বাবাসহ স্বজনরা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বজনের আহাজারী

সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের পর থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক থেকে বহিস্কৃত জাহেদুল আলম, মেয়র রকিুফল আলম ও তার ভাইরা মিলে খাগড়াছড়ির জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীর উপর হামলা এবং হত্যা করে তারা নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কায়েম করতে চাচ্ছে।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, মনির খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মংক্যচিং চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, নিহত রাসেলের বাবা নুর হোসেন ও মা খোদেজা বেগমসহ আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু বলেন, রাসেল হত্যাকান্ড মামলার এজহারভুক্ত আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লে­খ, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদরের মিলনপুর এলাকায় কুপিয়ে জখম করা হয় ছাত্রলীগ নেতা মো: রাসেলকে। আহত অবস্থায় চট্টগ্রামে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ ও নিহতের পরিবার শুরু থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও তার অনুসারীদের অভিযোগ করে আসছে।