মৃধার বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দুদকের

ইউসুফ আলী মৃধা। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম : দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিতর্কিত নিয়োগ পেয়েছেন তাদেরকে আসামি করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে সাত মামলায় আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই বছর আগে এসব মামলায় মৃধাকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল দুদক।

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে অধিকতর তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের দুই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জানা গেছে, অভিযোগপত্রে ইউসুফ আলী মৃধা এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা সাত মামলার নথি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠান। এসব মামলায় মৃধাকে অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে টাকার বস্তাসহ আটক হন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুক। এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

দুদক তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধারও সম্পৃক্ততা পায়। রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালী থানায় ইউসুফ আলী মৃধাসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ১৩টি দুর্নীতির মামলা করে দুদক।

২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা। পরে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন মৃধা।

মৃধার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচার শুরু হয়েছে। বিচার শুরু হওয়া মামলাগুলো হলো-ফুয়েল চেকার, সহকারী কেমিস্ট, টুল কিপার, টিকিট ইস্যুয়ার ও ট্রেন নাম্বার চেকার পদে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা।

শেয়ার করুন