ফটিকছড়িতে বিএনপি নেতা কাদের গনি চৌধুরীর সংবর্ধনা সভা

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনী মাঠ থেকে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে আবারো ক্ষমতা দখলের অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।’

শুক্রবার (২৫ মে) বিকেলে ফটিকছড়ির ইসলামিয়া বাজারে লেলাং ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম ফটিকছড়ির নিজ গ্রামে সংবর্ধিত হন তিনি।

এ সময় তিনি অারো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৯ বছরের শাসনামলে বেগম জিয়াকে বন্দী করে রাখা সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বিএনপি বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছে এবং হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।

লেলাং ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এজাহার মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ডা: মো: হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ও লেলাং ইউ.পি প্যানেল চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন।

তিনি অারো বলেন, সরকারের ‘ভুল সিদ্ধান্ত, প্রতিশোধ পরায়ণতা ও প্রতিহিংসার’ কারণে খালেদা জিয়া ও বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দী করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খালেদা জিয়া শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জননন্দিত নেত্রী। তার জন্য দেশের মানুষ নীরবে কাঁদছে।

তিনি বলেন, আগামী ছয়মাস বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটপূর্ণ সময়। কারণ, সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার মানুষ। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প গ্রামেগঞ্জে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। গ্রামের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য আনতে পারেনি। গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার দলীয়করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন এখন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা হাজী মাহাবুল আলম, রাঙ্গামাটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পৌর যুবদলের আহবায়ক সরোয়ার মফিজ, দাঁতমারা বিএনপি নেতা ইলিয়াছ, আজম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোর্শেদ হাজারী, যুগ্ন সম্পাদক ওমর ফারুক ডিউক, উপজেলা ছাত্রদল নেতা সম্রাট, যুবদল নেতা মো: নাসির সিকদার, নাজিম উদ্দীন প্রমূখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক অলি উল্লাহ, সদস্য সচিব আল মামুন, সদস্য হাসান, রোমান, তারেক, রিজুয়ান, উজ্জ্বল, তাহের, মুন্না, যুবদল নেতা আহসানুল করিম রাজন, ছাত্রদল নেতা মো: মুর্শেদ, আসিক, রাসেল, সজিব, হোসাইন, ইমন, শফিউল আলম মেম্বার, আনোয়ার পাশা, হানিফ মেম্বার, মো: নাছের, হাফিজ উদ্দীন, হাসান, মো: ইউসুফ, রফিক মেম্বার প্রমূখ।

শেয়ার করুন