খাগড়াছড়িতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব

নীলাচল নিবাসায় নিত্যায় পরমাত্মনে, বলভদ্র সুভদ্রাভ্যাং জগন্নাথায় তে নমঃ। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করা হয়। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।

এ উপলক্ষে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির আটটি উপজেলায় শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর রথযাত্রা মহোৎসব পালন করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুলাই) খাগড়াছড়ি শহরের শ্রী শ্রী রাধা বঙ্কুবিহারী ইসকন মন্দির পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে শহরের শাপলা চত্ত্বর মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে ধর্মসভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

ধর্মসভা ও শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী
মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। অমৃত লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. গোফরান ফারুকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এম সালাহ উদ্দিন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন কুমার ভট্টচার্য্য, জন্মষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক তপন কান্তি দে, সনাতন সমাজ কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজল বরণ সেন, শ্রী শ্রী লক্ষীনারায়ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল কান্তি দেব ও পৌর কাউন্সিলর পরিমল দেবনাথ।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন, ইসকন দিল্লি প্রখ্যাত ভাগবতম পাঠক ও কীর্তনীয়া শ্রীমান মুক্তিদাতা চৈতন্য দাস
ব্রক্ষচারী।

বক্তব্য রাখেন, ইসকন খাগড়াছড়ি শ্রী শ্রী রাধা বঙ্কুবিহারী মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী সুদর্শন জগন্নাথ দাশ ব্রক্ষচারী। ধর্মসভায় বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শত শত ধর্মাণুরাগী নর-নারী উপস্থিত ছিলেন।

পরে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর রথটিকে ভক্তরা আনন্দ উল্লাসে টেনে শাপ্লা চত্ত্বর থেকে খাগড়াছড়ি পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া জেলার ভাইবোনছড়া, গাছবান, ঠাকুরছড়া, পানছড়ি, রামগড়, দীঘিনালা, নয়মাইল, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, গৌমতি, তবলছড়ি, মহালছড়ি, মাইচছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলায়ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ও ধর্মীয় নানান আনুষ্ঠানিকতায় রথযাত্রা পালিত হয়েছে। রথযাত্রা উপলক্ষে জেলা সদরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ মন্দিরসহ সকল উপজেলার জগন্নাথদেবের মন্দিরসমূহে ৯ দিনব্যাপী মহাজনীয় ভজন র্কীর্তন, বৈদিক নাটক, শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের লীলা মহিমা বর্ণনাসহ দুর্লভ সাধু সঙ্গের আযোজন করা হয়েছে।