চলমান প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহবান ডিসির

চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

চট্টগ্রাম : পুরো দেশ তথা চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রত্যেককে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, করোনাকালীন সময়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশের প্রত্যেকটি উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান। দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রত্যেককে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামে যে সকল প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আমরা সকলে মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এদেশকে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হতে হবে। জেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসক-কর্মচারীদেরকে আরো আন্তরিক হতে হবে।

আরো পড়ুন : বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে পণ্যভর্তি ট্রাক খালে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু
আরো পড়ুন : সিএমপি কমিশনারের সাথে ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

করোনাকালীন সময়ে বেসরকারী হাসপাতালগুলো রোগীদের কাছ থেকে গলাকাটা ফি আদায় করছে, স্ত্রীর সোনা-গয়না বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে হয়, ডাক্তার ফি নির্ধারণ করা-রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলের এমন জ্বালাময়ী বক্তব্যের আলোকে ডিসি বলেন, এ অত্যন্ত দুঃখজনক। করোনা পরিস্থিতিতিতে বেসরকারী হাসপাতালগুলো বেপরোয়া ব্যবসা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাটহাজারীর পরিবর্তে কালুরঘাট সংলগ্ন কর্ণফুলীর তীরে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স করার বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করে মাটি তুলে নিয়ে ইট ভাটায় ইট তৈরী বন্ধ ও বন উজার করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু হাসান সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর (সদর), ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), এম.এ মোতালেব (সাতকানিয়া), হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (পটিয়া), জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল লোহাগাড়া), চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী (বাঁশখালী), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন (বোয়ালখালী), মোমেনা আক্তার (বাঁশখালী), মোহাম্মদ রুহুল আমীন (হাটহাজারী), মো. সায়েদুল আরেফিন (ফটিকছড়ি), জোনায়েদ কবীর সোহাগ (রাউজান), মাসুদুর রহমান (রাঙ্গুনিয়া), শাহিনা সুলতানা (কর্ণফলী), শেখ জোবায়ের আহমদ (আনোয়ারা), মোঃ আহসান হাবিব জিতু (লোহাগাড়া), ইমতিয়াজ হোসেন (চন্দনাইশ), মো. মিনহাজুর রহমান (মীরসরাই), ফয়সাল আহমেদ (পটিয়া), আব্দুস সালাম চৌধুরী (সাতকানিয়া), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আহমেদ, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈদ মোহাম্মদ শফিউল আলম, উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী, উপকুলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম গোলাম মাওলা, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন, শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম দেলোয়ার হোসেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার মনোরঞ্জন দে, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক নিউটন দাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভূঁইয়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র ইসমাইল হোসেন, বোয়ালখালী পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম, বারৈয়ারহটি পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী প্রিয়াংকা দত্ত, পরিবেশ অদিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমূখ। এছাড়াও সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরের কর্মরত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন