সিটি নির্বাচন তুঙ্গে ডিজিটাল প্রচারণায়

ছবি : সংগ্রহীত

চৌধুরী সুমন (চট্টগ্রাম) : ঘনিয়ে আসছে সিটি নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সকল প্রার্থী। এক সময় মাক্রফোন মুখে প্রচারণা চলত। কিন্তু যুগের চাহিদায় এখন তা ঝিমিয়ে পড়েছে। প্রচারণা এখন কণ্ঠশিল্পী থেকে ধারা ভাষ্যকারের কণ্ঠে রেকর্ডিংয়ে ছড়িয়ে পরছে। এমন আধুনিক পদ্ধতিতে প্রচারণায় খরচও কমেছে প্রার্থীদের। অন্যদিকে চাহিদা বেড়েছে ব্যান্ডের স্পিকারের।

আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ব্যাটারির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পাশাপশি করেন মাইক ব্যবসাও। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাইকের চাহিদা সবসময়ই। সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিলেও লাগে। হারানোর সংবাদ-মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করতে মাইকের ব্যবহার অপরিহার্য। নির্বাচনে দৈনিক ৫শ’ টাকায় ভাড়া দিয়েছি। আমার চল্লিশটি মাইক আছে। রেকর্ডিং প্রযুক্তির বিষয়টি তুলে ধরলেন তিনি।

আরো পড়ুন : শ্রমজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে বিলস লেবার রির্সোসের ৭ দাবি
আরো পড়ুন : নির্বাচিত হলে কিশোর গ্যাং রাখব না, জলাবদ্ধতা থাকবে না : রেজাউল

মোহাম্মদ রায়হান জানান, আগে মাইক্রফোন দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে টাকা কামিয়েছি। কষ্ট হলেও আনন্দ ছিলো। এখন নেই। কণ্ঠশিল্পী আর ধারাভাষ্যকারদের জন্য প্রচারণার আমেজ বিলিন হয়ে গিয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা- রিকশাতে মাইক আর চালকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। মোবাইলে জ্যাক লাগিয়ে সারা শহরে প্রচারণা চলছে।

শাহ আমানত সাউন্ড সিস্টেমের প্রোপাইটার হোসেন জানান, স্বল্প পরিসরে এখন মেহেদী অনুষ্ঠান চলছে। নির্বাচনে প্রচারণার জন্য এক পেয়ার করে ৫ পেয়ার স্পিকার ভাড়ায় দিয়েছি। জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে মাইকের পাশাপাশি সাউন্ড সিস্টেমেরও চাহিদা বেড়েছে। তবুও মাইকের সাথে পাল্লা দেয়া সম্ভব না। কেননা মাইকে সরঞ্জামাদি কম। হামলা বা ভাংচুর হলে বেশি লোকসান হয় না। আমাদের কন্ট্রোলারসহ অনেক কিছু দিতে হয়। যার ফলে চিন্তাও বেশি।

প্রার্থী দলের একজন জানান, জাতীয় নির্বাচনে মডেল ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এবং অভিনেতারা প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। উপ নির্বাচনেও অনেক শিল্পী গানে গানে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে। সেই থেকে চট্টগ্রামে তেমন কিছু হয়নি। ভয়েস রেকর্ডিংয়ে প্রচারণা চলছে। তাছাড়া প্রচারণায় হামলার ভয়ে মাইক্রফোন দিয়ে অনেকে প্রচারণা চালাতে চায় না। তবুও কমবেশি প্রচারণা চলছে।

শেয়ার করুন