উত্তর মাদার্শায় ভয়াবহ আগুনে ১৩ বসতঘর ছাই

উত্তর মাদার্শায় ভয়াবহ আগুন

চট্টগ্রাম : হাটহাজারীতে দিন দুপুরে আগুন লেগে ১৩ টি পরিবারের ৪৭ টি রুম পুড়ে ছাই হয়েছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ আনিস চৌধুরী বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।

এতে ঐ বাড়ির বদিউল আলম, মাহবুবুল আলম, শফি সওদাগর, হেলাল চৌধুরী, রফিক চৌধুরী, কফিল চৌধুরী, ফোরক সওদাগর, নুরুল হক, আবুল খায়ের, জামাল উদ্দিন, ফরিদুল আলম মাস্টার, হাঁচি মিয়া, নন্না মিয়ার ঘর পুড়ে যায়। ক্ষতি হয় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। আগুনের সূত্রপাত রান্নাঘরের চুলা থেকে।

আরো পড়ুন : বান্দরবানের নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী
আরো পড়ুন : নির্বাচনী সহিংসতায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই নিহত পটিয়ায়

সরেজমিনে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ বদিউল আলমের পুরাতন ঘরে দুপুরে রান্নার সময় হঠাৎ চুলার ঘর থেকে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠা আগুন একের পর এক ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। চারদিকে আগুনোর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। টিনসেড লাগোয়া প্রতিটি ঘর দ্বিতীয়ত শুষ্ক মৌসুম ও বাতাসে আগুনের তীব্রতার কাছে স্থানীয়দের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। লাইন ধরে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে বালতি, মগ, বাটি, জগের সাহায্যে পানি ছুড়তে থাকে। আগুনের তাপদাহে ঘটনাস্থলের খুব নিকটে যেতে পারেনি কেউ। সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পরে অগ্নিকান্ডের প্রায় ১ ঘন্টা পর হাটহাজারী দমকল বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আড়াই ঘন্টার বিরামহীন চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও সাড়ে তিন ঘন্টার স্থায়িত্ব আগুনে ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্রসহ পুড়ে যায় বাৎসরিক খোরাক চাষ করা ধান চাল। তবে দমকল বাহিনী রক্ষা করে আরো বড় ধরনের ক্ষতি থেকে। বেঁচে যায় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি পাকা দালান।

মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা আমাদের পুরাতন বাড়ি। দিনদুপুরে এমন আগুন আর একসাথে এতগুলো ঘর পোড়া জীবনে প্রথম দেখলাম। কমপক্ষে দু হাজার মানুষ আগুন নেভাতে চেষ্টা করি। কিন্তু সফল হয়নি। দমকল বাহিনী না এলে আরো কয়েকটি ঘর পুড়ে যেত। ক্ষতিগ্রস্থদের অধিকাংশ দিনমজুর। আগুনের ভয়াবহতায় পড়নের কাপড় ছাড়া কিছুই বের করতে পারেনি পরিবারগুলো। সব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। মিডিয়ার মাধ্যমে সরকার ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অনুরোধ আগুনে নিঃস্ব ও অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাড়াতে ধনাঢ্যদের এগিয়ে আসার আহবান করেন তিনি।

সত্যতা স্বীকার করেন হাটহাজারী দমকল বাহিনীর লিডার মোঃ ছাদেক। ঘটনার অনেক পর তাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত জানালে হয়তো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমানো যেত।