উপবৃত্তির প্রলোভনে কলেজে ডেকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা

ইব্রাহিম নূর সায়েম, (চট্টগ্রাম) : বোয়ালখালী উপজেলার হাজী মোঃ নুরুল হক ডিগ্রি কলেজে উপবৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে অফিস সহায়ক দ্বারা এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে একই কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে অফিস সহায়ক মোরশেদ কলেজের প্রথম বর্ষের ঐ ছাত্রীর বাবার মোবাইলে ফোন করে ১৯ তারিখ সকালে উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষর করার জন্য জরুরীভাবে ছাত্রীকে কলেজে পাঠাতে বলে। কলেজ থেকে ফোন পেয়ে লকডাউনের বন্ধের মধ্যেও বাবা ঐ ছাত্রীকে সকালে কলেজে পাঠালে অফিস সহায়ক মোরশেদ আগে থেকে ওৎ পেতে থাকে। ঐ ছাত্রী কলেজে প্রবেশ করলে মোরশেদ তাকে ফরমে স্বাক্ষর করার কথা বলে অফিস রুমে নিয়ে যায়, নানা কথার ছলে এ ছাত্রীর সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছাত্রী ছুটে দৌঁড়ে পালিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে আসে।

এ বিষয়ে ঐ দিনই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরও রহস্যজনক কারণে অধ্যক্ষ এক মাসেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান এ ছাত্রীর পিতা।

জানতে চাওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কায়সারুল হক বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বরত আছি। ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর আমি বিষয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি। তিনিসহ সিদ্ধান্ত নিবেন।

এ দিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুর নাহার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে আমি পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা স্বীকার করেন। লকডাউনের কারনে একটু বিলম্বিত হচ্ছে তবে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই দিকে ছাত্রীর বাবা তার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।